নিউজ ডেস্ক.
সংসদ ভেঙে অন্তর্বতীকালীন সরকার ব্যবস্থার অধীনে নির্বাচন করার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ। তবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের বিপক্ষে মত দিয়েছে বাসদ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামানের নেতৃত্বে বাসদের ১৪ সদস্যের প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনের সংলাপে অংশ নেয়।
সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়ন, দল নিরপেক্ষ অন্তর্র্বতীকালীন সরকার গঠনে আলোচনা, নির্বাচনী ব্যয় ও জামানত কমানো, প্রতি তিন আসনে একজন নারী সদস্যের অংশগ্রহণ, ইভিএম নিয়ে আরও পরীক্ষামূলক কার্যক্রম নেওয়াসহ ১৩ দফা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে দলটির পক্ষ থেকে।
পরে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাসদ নেতা খালেকুজ্জামান বলেন, “আমরা সেনা মোতায়েনের কথা বলিনি। যখনই সেনা মোতায়েনের কথা বলব- তখন যুদ্ধ করতে যাব নাকি নির্বাচন করতে যাব? তাহলে তো এক সময় জাতিসংঘের বাহিনী আনতে হবে। সেনা মোতায়েন যদি সুশৃঙ্খলতার জন্য হয়, সংঘাত মোকাবেলার জন্য সেনা ডাকতে হয়, তাহলে তো নির্বাচন হয় না।”
বাসদের প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে- অবাধ নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য শুধুমাত্র রুটিন কাজ পরিচালনাকারী সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠান, এই ধরনের অন্তর্র্বতীকালীন সরকার ব্যবস্থা কিভাবে দল নিরপেক্ষ করা যায় সে বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে জাতীয় মত সৃষ্টি; নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য আলাদা আইন, নির্বাচন কমিশনের জন্য আলাদা বাজেট দেওয়া, নির্বাচনী জামানত ৫ হাজার টাকা ও নির্বাচনী ব্যয় ১০ লাখ টাকার মধ্যে সীমিত রাখা, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের জন্য আজীবন সম্মানী ভাতা চালু করা, নির্বাচনে কালো টাকা, পেশিশক্তি, সাম্প্রদায়িকা ও আঞ্চলিকতা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলের প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করা, পরীক্ষামূলকভাবে ইভিএম ব্যবহার করা ও নির্বাচনী বিরোধ মেটানোর জন্য স্বতন্ত্র-আলাদা আদালত গঠন প্রভৃতি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে অংশীজনের সঙ্গে সংলাপ করছে ইসি। ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ১৬ ও ১৭ অগাস্ট গণমাধ্যম প্রতিনিধির সঙ্গে মত বিনিময় করেছে ইসি। ২৪ অগাস্ট থেকে দলগুলোর সঙ্গে মত বিনিময় চলছে, অক্টোবরের মধ্যে তা শেষ করা কথা রয়েছে।

