অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের জন্য সব ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির প্রধান শন ক্যরোলের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি ইংল্যান্ড দল বাংলাদেশে সফর করলে তাদের নিরাপত্তায় আশ্বস্ত হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তারা মনে করেছে বাংলাদেশ সবসময় সেভ। সেজন্য তারা খেলতে আসছে।
তাদের নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শুধু ইংল্যান্ডের মতো নয়, অস্ট্রেলিয়া যে ধরনের নিরাপত্তা চাইবে সে ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সরকার বলে জানান তিনি।
গত বছর জুলাইয়ে গুলশানের হোলি আর্টিজান ক্যাফেতে সন্ত্রাসী হামলার মাত্র তিন মাসের মাথায় ইংল্যান্ড বাংলাদেশে পা দিয়েছিল। নির্বিঘ্ন হয়েছে সেই সফর। আগামী জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশ সফরে ‘ইংল্যান্ডের মতো’ নিরাপত্তাব্যবস্থাই চায় অস্ট্রেলিয়া। সফরের আগে নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা পরখ করতে শন ক্যারল এখন বাংলাদেশে। তিনি বলেছেন, ইংল্যান্ডের মতো নিরাপত্তাব্যবস্থাই চায় অস্ট্রেলিয়া।
২০১৫ সালেই অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশে আসার কথা ছিল। কিন্তু সে সময় নিরাপত্তাঝুঁকিকে কারণ দেখিয়ে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ পিছিয়ে দেয় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। ২০১৬ সালের শুরুতে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ যুব বিশ্বকাপেও দল পাঠায়নি। তবে গত অক্টোবরে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর বাংলাদেশের নিরাপত্তাব্যবস্থার ব্যাপারে অনেকটাই নিশ্চিন্ত করেছে অস্ট্রেলিয়াকে।
ইংল্যান্ড সফরের সময়ই ক্যারল বাংলাদেশে এসে নিরাপত্তাব্যবস্থা পরখ করে গিয়েছিলেন। ঢাকা টেস্টের সময় মাঠে থেকে নিরাপত্তাব্যবস্থার খুঁটিনাটি পর্যবেক্ষণ করেছিলেন।
ক্যারলের সবুজ সংকেতের ওপরই অনেকটা নির্ভর করছে এই সফর। বাংলাদেশ সফরে দুটি টেস্ট খেলার কথা অস্ট্রেলিয়ার। সম্প্রতি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ডও বাংলাদেশ সফর ‘প্রায় চূড়ান্ত’ হওয়ার কথাই জানিয়েছিলেন। নিরাপত্তার ব্যাপারে শতভাগ আশ্বস্ত হতেই ক্যারলকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে।