আ’লীগের সাধারণ সম্পাদকের ছেলের নাম ব্যবহার করতেন প্রতারক হালিম


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820
কাজীপুর প্রতিনিধি.

রাজধানী ঢাকার হোটেলে দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার গান্ধাইল গ্রামের হাসান মো. হালিমই নিজেকে নাঈম আশরাফ নামে পরিচয় দিয়েছে। তাঁর নানা কূকর্ম আড়াল করতেই কাজীপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও গান্ধাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলামের ছেলের নাম ব্যবহার করতেন।
কাজীপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, প্রতারক হাসান মো. হালিম যে নাঈম আশরাফের নাম ব্যবহার করতেন সে ব্যাপারেি নিশ্চিত। মূলত বিভিন্ন জায়গায় প্রভাব বিস্তার করার জন্য আওয়ামীলীগ নেতা আশরাফুল ইসলামের ছেলের নাম ব্যবহার করতেন প্রতারক আব্দুল হালিম।
সর্বশেষ প্রতারক হালিমের বিরুদ্ধে ঢাকায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হলে সে আত্মগোপনে চলে যায়। বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত হালিমের গ্রামের বাড়ী গান্ধাইলসহ তাঁর বিভিন্ন আত্মীয়ের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করতে পারেননি পুলিশ।

    স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার গান্ধাইল গ্রামের আমজাদ হোসেন ফেরিওয়ালার ছেলে এই হালিম। ২০০৪ সালে এসএসসি পাশ করে বগুড়া পলিটেকনিকে ভর্তি হয়। সেখানেও নিজের বাবার নামসহ পুরো পরিচয় গোপন করে প্রতারণা করে এক মেয়ের সাথে ধরা পড়ে গণপিটুনি খায়। পরে সেখান থেকে পালিয়ে ঢাকায় গিয়ে নাম বদলে হয়ে যায় নাঈম আশরাফ। চাকরী নেয় এক মিডিয়া হাউজে। এরপর থেকেই দীর্ঘদিন তার কোন খবর ছিলোনা তার এলাকায়। হঠাৎ করেই নিজেকে কাজীপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি পরিচয় দিয়ে এলাকায় ব্যানার ফেস্টুন লাগায়। আর এতেই আবার নজরে আসে হালিম ওরফে নাঈম আশরাফ। রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান পরিচয় নিয়ে নাঈম আশরাফ ঢাকার বিভিন্ন নারীদের সাথে প্রতারণা করে গড়ে তুলতেন শারীরিক সম্পর্ক। তবে তার কোন রাজনৈতিক পরিচয় নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা।
    এ বিষয়ে স্থানীয় গান্ধাইল ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন জোয়ার্দ্দার জানান, হালিম প্রভাব বিস্তার ও প্রতারণার কাজটি সহজ করার জন্য কাজীপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলমের সন্তানের নাম ব্যবহার করেছে। আমরা এই ধরনের প্রতারকের গ্রেফতার পূর্বক কঠিন শাস্তি দাবী করছি।
    কাজীপুর থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) সমিত কুমার কুন্ডু জানান, সাধারণ ফেরিওয়ালার ছেলে এইচ.এম হালিম নাম বদলে হয়েছেন নাঈম আশরাফ। প্রকৃতপক্ষে এলাকায় সে একজন প্রতারক হিসেবে পরিচিত। বাবার নাম পরিচয় বদলে বিয়ে করেছেন তিনটি। ২জন স্ত্রী তার প্রকৃত পরিচয় জেনে সরে গেলেও এখন তৃতীয় স্ত্রী নিয়ে বসবাস করছেন ঢাকায়। আর কাজীপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগে তার কোন পদ নেই। তারপরেও ব্যানার ফেস্টুনে ব্যবহার করছেন দলীয় নেতাদের ছবি ও পদবী।

    অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ