Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820
নিউজ ডেস্ক.
বর্তমান অবস্থায় এমএনপি বা নাম্বার অব পোর্টাবিলিটি সেবা চালু হলে রাষ্ট্রীয় টেলিকম প্রতিষ্ঠান টেলিটক এবং সিটিসেল গ্রাহক হারাতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ। শনিবার বিকেলে এক বিবৃতিতে কথা জানান তিনি।
বিবৃতিতে মহিউদ্দীন আহমেদ জানান, নাম্বার অপরিবর্তিত রেখে অন্য অপারেটরে যাওয়াই হলো এমএনপি বা নাম্বার অব পোর্টাবিলিটি। এ ব্যবস্থা দক্ষিণ এশিয়াসহ বিশ্বের প্রায় ৭০টি দেশে রয়েছে। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানেও রয়েছে।
দেশে সেবাটি চালুর বিষয়ে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জানান, আমাদের দেশে এ ব্যবস্থা চালু করার জন্য সরকার ২০১২ সালে প্রথম উদ্যোগ নেয়। পরবর্তীতে ২০১৩ সালের ১৩ জুন মুঠোফোন অপারেটরদের এ ব্যবস্থা চালু করার একটি নির্দেশনাও দিয়েছিল বিটিআরসি। নির্দেশনায় বলা হয়, ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে গ্রাহকদের এ সুবিধা দিতে হবে। ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ নিয়ে অনলাইনে গ্রাহকদের মতামত নেয় বিটিআরসি। তারপরও আমাদের দেশে ৯৯ ভাগ গ্রাহকই এ বিষয়ে অবগত নয় বলে আমরা লক্ষ্য করেছি।
মহিউদ্দীন আহমেদ জানান, দেশের অপারেটরা এ বিষয়ে পারদর্শী না হওয়ার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ৫টি প্রতিষ্ঠানকে মনোনিত করে। তারা হলো রিভ নাম্বার লিঃ, গ্রিনটেক ইন্টারন্যাশনাল, ইনফোজিলিয়ন বিডি, টেলিটেক কনসোর্টিয়াম, ব্রাজিল বালাদেশ কনসোর্টিয়াম। ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।
মহিউদ্দীন আহমেদ আরও জানান, এমএনপি চালু হলে গ্রাহক হিসেবে আমাদের সুবিধাই বেশি। যদিও শর্তে বলা আছে গ্রাহক ৩০ টাকার বিনিময়ে অন্য অপারেটরে যেতে পারবে পূর্বের নাম্বার অপরিবর্তিত রেখেই। তবে ৯০ দিনের মধ্যে অপারেটর পরিবর্তন করা যাবে না।
তিনি জানান, এমতাবস্থায় আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা একান্তই অপরিহার্য বলে আমরা মনে করি। প্রথমত, অন্য অপারেটরে যাবার বেলায় ৩০ টাকার সাথে আরো ১০০ টাকার ভ্যাট কে প্রদান করবে তা পরিষ্কার করা দরকার। দ্বিতীয়ত, দেশের বর্তমান যে নেটওয়ার্ক অবস্থা তাতে গ্রাহক এমএনপি করেও খুব একটা ভাল সেবা নাও পেতে পারে। তৃতীয়ত, কলরেটের সর্বনি¤œ (অফনেট) এর হার ঠিক না করে এমএনপি চালু করলে গ্রাহক সেবার সাশ্রয়ের বদলে খরচ বাড়তে পারে।
চতুর্থত, অসম বাজার প্রতিযোগিতা আইন না করে এমএনপি চালু করলে রাষ্ট্রীয় টেলিকম অপারেটর টেলিটক এবং সিটিসেল গ্রাহক শুন্য হয়ে পড়ার সম্ভবনা দেখা দিতে পারে। পঞ্চমত, রেলের ফাইবার অপটিক একটি অপারেটরকে না দিয়ে সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া উচিত।