আবদুল জলিল, কাজীপুর.
খালের মুখে বাড়ি নির্মাণ করায় কাজীপুরের মাইজবাড়ী ইউনিয়নের পাইকরতলী গ্রামের মানুষ স্থায়ী জলবদ্ধতার কবলে পড়েছে। জনবহুল ও ঐতিহ্যবাহী এই গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সরকারী একটি খালের মুখে কয়েক বছর পূর্বে জনৈক ব্যক্তি বাড়ি নির্মাণ করলে পানি নিষ্কাষণ বন্ধ হয়ে যায়। এ বিষয়ের প্রতিকার চেয়ে গতকাল কাজীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে গ্রামবাসী।
সরেজমিন ওই গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, মেঘাই জামে মসজিদ থেকে শুরু করে পাইকতলী গ্রামের দক্ষিণ জামে মসজিদ পর্যন্ত একটি সরকারী খাল রয়েছে। গ্রামের পূর্ব অংশের প্রায় ২০০ বিঘা জমির পানি এই খালে পড়তো। সেইসাথে দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদের উত্তর পাশ দিয়ে সরকারী ১নং খতিয়ান ভুক্ত হালটের মধ্যে দিয়ে গ্রামের পশ্চিম পাশে বিল ও কবিহার গ্রাম পর্যন্ত পানি নিষ্কাশন হতো। কিন্তু গত ৫/৬ বছর যাবৎ অত্র গ্রামের তাজেম উদ্দিন মন্ডল ১নং খতিয়ান ভুক্ত সরকারী হালট ভরাট করে বসতবাড়ি নির্মাণ করলে পানি নিষ্কাষনের পথ বন্ধ হয়ে যায়। গ্রামের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত দুটি রাস্তার সংযোগ সড়ক জলাবদ্ধতার কারণে ডুবে গেছে। এতে পুরো গ্রামের মানুষের যাতায়াতে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিন স্কুলগামী ছেলে মেয়েদের স্কুলে যেতে ময়লা আবর্জনাযুক্ত পানি মাড়াতে হচ্ছে। এলাকার মানুষের দূর্ভোগ লাঘব ও জমিতে ফসল উৎপাদন , ছেলে-মেয়েদের স্কুলে যাওয়া নিশ্চিতকরণে হালটটি পূর্ণ খনন করাও একান্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।
ওই গ্রামের অধিবাসী কাজীপুর সরকারী মনসুর আলী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আলহাজ্ব হামিদুর রহমান জানান, জলাবদ্ধতার কারণে গ্রামের মানুষের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন পানি জমে থাকায় এই গ্রামসহ পাশের মেঘাই গ্রামের প্রায় ২০০ বিঘা জমিতে চাষাবাদ করা সম্ভব হচ্ছেনা।
ওই গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক জালাল উদ্দিন ও আব্দুর রশিদ জানান, খালের পাশের অনেক পুকুরের পাড় ডুবে যাওয়ায় মাছ চাষীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। প্রায় ৫০ বিঘা জমি কচুরি পানাতে ভরে গেছে। তাই খালটির মুখ খুলে দেয়া আশু প্রয়োজন।
কাজীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিযোগপত্র পাওয়ার কথা নিশ্চিত করে জানান, দ্রুত এ সমস্যার সমাধানে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

