কাজীপুরে পল্লী বিদ্যুতের ইলেকট্রিশিয়ান বাবুর সীমাহীন দুর্নীতি


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820

স্টাফ রিপোর্টার.


একের পর এক অনিয়ম -দুর্নীতি করে পার পেয়ে যাবার সুযোগে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন কাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ইলেকট্রিশিয়ান আনোয়ার হোসসেন বাবু ওরফে বড় বাবু। অনেকবার তার দুর্নীতির বিষয়ে পত্রিকায় নিউজ হলেও অজ্ঞাত কারণে সব ম্যানেজ করে নিয়েছেন।


    ভুয়া স্টেকিংশিট বানানো ভুয়া গ্রাহক দেখানো, ডিজাইন পরিবর্তন করা, পুরাতন ইউবি লাইন সরিয়ে নতুন করে এইচটি লাইন চালু, পাশ্ববর্তি অন্য জেলায় মিটার লাগিয়ে সিরাজগঞ্জের বিদ্যুৎ পাচারসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতি করে চলেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি বাবুর অবৈধ লাইন নির্মাণের ফলে নিজের ভিটেমাটির সব গাছ কাটাসহ ঘর নির্মাণ করতে না পেরে এক গ্রাহক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগকারী সোনামুখী ইউনিয়নের রশিকপুর গ্রামের রিপন মিয়া (আবাসিক গ্রাহক নং- ১৭৯-১৮০২-৬১০১১/০৫-৩৫৬-১২৬৫)।
    তিনি উল্লেখ করেছেন, তার বাড়িতে পল্লী বিদ্যুতের আবাসিক সংযোগ আছে। সম্প্রতি পল্লী বিদ্যুতের ইলেকট্রিশিয়ান বাবু সোনামুখী ইউনিয়ন পার করে মাইজবাড়ি ইউনিয়নে একটি সেচ মটরে সংযোগ দিতে তার বাড়ির দক্ষিন পাশ দিয়ে যাওয়া আগের ইউবি দুই তারের লাইন খুলে ফেলে তার বাড়ির মাঝ বরাবর দিয়ে এইচটি তিন তারের লাইন টানান। এই কাজে করতে গিয়ে বাবু দুইটি স্টেকিং শিটে ( নং -আরইবি ফরম- ৩৪৮, আরইভি- অক্টো-৮৯) মজিবর, মতিয়ার,ও মজিবর, মোহাম্মদকে গ্রাহক দেখিয়ে আরও তিনটি পোল বরাদ্দ করান। কিন্তু সরেজমিন গিয়ে ওই নামে কাউকে পাওয়া যায়নি। এরই মধ্যে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে লাইন টানাতে গিয়ে রিপনের ১৫/১৬ টি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এতে তার দেড়লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন।

    ইলেকট্রিশিয়ান বাবু কাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্তাব্যক্তিদের ম্যানেজ করে সেচ সংযোগ দেবার নামে পাশ্ববর্তি বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার মাধবডাঙ্গা গ্রামের পচা মন্ডল সহ আরও কয়েকটি বাড়িতে সংযোগ দিয়েছে।

    এছাড়া মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে মাইজবাড়ি ইউনিয়নের কুনকুনিয়া গ্রামে বাদশা মিয়া নামের একজনকে একটি সেচ সংযোগ পাইয়ে দিয়েছেন। ওই লাইনের কাজ শেষ এখন শুধু সংযোগ দেবার অপেক্ষা। নিয়ম রক্ষা করার জন্যে সেচের ওই শিটে ৫ জন আবাসিক গ্রাহককে দেখানো হয়েছে। কিন্তু সরেজমিনে তাদেরকে পাওয়া যায়নি।
    এছাড়া কবিহার গ্রামে BOQ # 1.8-DL-165-03 লর্ডের পূর্বে যে ডিজাইন ছিল সেটি পরিবর্তন করে দুইটি পোলে হাই ভোল্টেজের তার দিয়ে লাইন নির্মাণ করে ময়েজ উদ্দিনের পুত্র মাসুমকে লাইন তৈরি করে দিয়েছে যার পোল নং- কে ডেড-২ বি-১৪৯-এল-১০। প্রতিবারই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও কোন ব্যবস্তা না নেয়ায় জনমনে প্রশ্ন উঠেছে বাবুর খুঁটির জোর কোথায়?

    অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ