কাজীপুর প্রতিনিধি.
সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পিওন নিয়োগে ঘুষ লেনদেনের মিথ্যে অভিযোগ দিয়ে তা বানচালের চেষ্টা করা হয়েছে। 
শনিবার দুপুরে সরেজমিনে পরানপুর গ্রামে গিয়ে দুদক পাবনা বরাবর কথিত দরখাস্তকারী ব্যক্তির সাথে কথা বললে তিনি এসব অস্বীকার করেন। তিনি কোন দরখাস্ত কোথাও দেননি বলে জানান। তাকে এসময় দরখাস্তের ফটোকপি দেখালে তিনি ওই স্বাক্ষর তার নয় বলে জানান। তিনি নিজে লেখাপড়া জানেন না এবং স্বাক্ষরও করতে পারেন না বলে জানিয়ে প্রমাণ হিসেবে তার ভোটার আইডি কার্ড দেখান যেখানে দেখা যায় তিনি টিপসই প্রদান করেছেন।
এসময় তার পুত্র বিদ্যালয়ে চাকরির জন্যে দরখাস্তকারী জুয়েল মিয়া জানান, আমি চাকরির জন্যে কাউকে ঘুষ দেইনি এবং এ নিয়ে আমার বাবা কোথাও অভিযোগও করেনি। দরখাস্তে যাদের ঘটনার সাক্ষী করা হয়েছে তাদের একজন স্থাণীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আল আমিন জানান, এ বিষয়ে আমরা কিছুই জানিনা।
এসময় স্থাণীয় ইউপি সদস্য সেজাব মন্ডল জানান, কথিত দরখাস্তকারী কুদ্দুস একজন গোবেচারা মূর্খ মানুষ। তার পক্ষে এ কাজ করা কখনই সম্ভব নয়। আসলে কেউ প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে এই নিয়োগকে বানচালের অপচেষ্টা করেছে। আর বিষয়টি বুঝেই কর্তৃপক্ষ নিয়োগের চূড়ান্ত আদেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য কাজীপুরের সোনামুখী ইউনিয়নের পরানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন পিওন নিয়োগে বাণিজ্যের অভিযোগ এনে গত ১১ ফেব্রুয়ারি ওই গ্রামের জনৈক আব্দুল আব্দুল কুদ্দুসের নামে একটি দরখাস্ত সহকারী পরিচালক দুদক পাবনা বরাবর দেয়া হয়।

