কোনো প্রকার দ্বন্দ্বে যেতে চাই না : ফখরুল

নিউজ ডেস্ক.

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা প্রত্যাশা করি, সরকার আমাদের শ্রমিক সমাবেশের ব্যাপারে সহযোগিতা করবে। আমরা কোনো প্রকার দ্বন্দ্বে যেতে চাই না। বরং গণতন্ত্রের পথে সকল রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে চায়। গণতান্ত্রিক পরিবেশ চাই।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট সানা উল্লাহ মিয়াকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জাবাবে তিনি এ সব কথা বলেন।
১ মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে বিএনপি সমাবেশ করতে চায় জানিয়ে বিএনপির এই মহাসচিব বলেন, শ্রমিক সমাবেশের জন্য ইতিমধ্যে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। আমাদেরকে ইতিমধ্যে জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে পহেলা মে জনসভার অনুমতি পাবো না।
তিনি আরও বলেন, তবে তারা বলেছে যে, ২/৩ তারিখে অনুমতি দিতে পারে। সেজন্য আমরা নতুন করে আবেদন করেছি। পরবর্তীতে ২ অথবা ৩ মে সমাবেশের জন্য পুনরায় অনুমতি চাওয়া হয়েছে। আমাদের সাবেক সাংসদ জয়নুল আবেদিন ফারুক, আবুল খায়ের ভুঁইয়া ও শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি- তারা ডিএসপি কর্মকর্তাদের সাথে দেখাও করেছেন।
দেশে সুশাসন নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, দেশের একটি বৃহত্তর অঞ্চলে বন্যার মতো এই দুর্যোগের সময় হাওরের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দেশে বাইরে অবস্থান করা প্রমাণ করে দেশে এখন সরকার বলে কিছু নেই।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, এই মুহুর্তে আমরা কোনো কনফোনট্রেশনে যাওয়ার চিন্তা করছি না। সরকার তার চিরাচির যে নীতি বিরোধী দলকে কোনো সভা-সমাবেশ করতে দেবে না- এটা তারই বর্হি:প্রকাশ। এ থেকে বুঝা যায় যে, গণতন্ত্রের অবস্থাটা এখন কোন জায়গায় আছে। গণতন্ত্র যে নেই বাংলাদেশে- এটা তারই প্রমাণ।
হাওর অঞ্চলে প্রধানমন্ত্রীর সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বন্যা দুর্গত এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর আরও আগেই যাওয়া উচিত ছিল।
অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া ডায়াবেটিকস ও উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হয়ে বারডেম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সেখানে তাকে দেখতে যান মির্জা ফখরুল। চিকিৎসকদের কাছ থেকে তার চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন।
এ সময় দলের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, জাসাস নেতা নুরুউদ্দিন আহমেদ নুরু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম প্রমূখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ