Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820
নিউজ ডেস্ক.
মুক্তিযুদ্ধের দায়িত্বকে কলঙ্কিত ও বাংলাদেশের মানচিত্র এবং জাতীয় পতাকাকে অপমানিত করার অভিযোগে করা মানহানির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে আদেশের জন্য ১২ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম এ কে এম মঈন উদ্দিন সিদ্দিকী এই আদেশ দেন।
মামলায় খালেদা জিয়ার সমন ফেরত হয়ে আসায় এবং আদালতে হাজির না হওয়ায় আজ মামলার বাদী গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন। কিন্তু এ মামলার নিয়মিত বিচারক আজ ছুটিতে থাকায় নতুন করে দিন ধার্য করেন অন্য বিচারক।
মামলার নথিতে অভিযোগ করে বলা যায়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার পর ৭ নভেম্বর সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা মেজর জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব দখল করেন। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়েও তিনি মুক্তিযুদ্ধের দায়িত্ব কলঙ্কিত করেছেন।
১৯৮১ সালের ১৭ মে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বদেশে ফিরে এলে জিয়াউর রহমান তাঁকে হুমকি ও অবরুদ্ধ করে রাখেন। এতে জিয়াউর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশ, স্বাধীনতার ইতিহাস হুমকিযোগ্য ও মানহানিকর অপরাধ করেছেন। এ জন্য তাঁকে এই মামলায় মরণোত্তর আসামি করা হয়।
অন্যদিকে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বলা হয়, ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের সঙ্গে জোট করে নির্বাচিত হয়ে সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন খালেদা জিয়া। তিনি রাজাকার-আলবদর নেতাকর্মীদের মন্ত্রী-এমপি বানিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকা তাদের বাড়িতে এবং গাড়িতে তুলে দেন। এর মাধ্যমে দেশ ও বিদেশের কাছে জাতির মান-সম্মান লঙ্ঘিত করেছেন।
এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান (মরণোত্তর) ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একটি মানহানির মামলা করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী। পরে আদালত ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন।