খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে কিছুই পায়নি পুলিশ

নিউজ ডেস্ক.

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে কিছুই পায়নি পুলিশ। নাশকতার সরঞ্জাম খুঁজতে ২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে তল্লাশি চালায় তারা। তবে খালি হাতেই বের হয়ে আসে তারা। অভিযান শেষে গুলশান থানা থেকে দেয়া তল্লাশি তালিকা দেখা গেছে, সেখানে কিছুই পাওয়া যায়নি।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে গুলশানের কার্যালয়ে প্রবেশ করে পুলিশ। গুলশান জোনের ডিসি মোস্তাক আহমেদের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। সকাল পৌনে ১০টার দিকে তারা চলে যায়। অভিযান শেষে সড়কে বসানো ব্যারিকেড তুলে নেয় পুলিশ।
অভিযান শুরুর সময় গুলশান থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক জানান, খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে রাষ্ট্রবিরোধী ও নাশকতা চালানোর মতো জিনিস রয়েছে-এই মর্মে সার্চ ওয়ারেন্ট রয়েছে। সে জন্য তল্লাশি চালানো হয়েছে।
পুলিশ বেরিয়ে যাওয়ার পর কার্যালয়ে ঢুকে দেখা যায়, নিচের তলা ও দোতলায় দুটি সিসি ক্যামেরার মুখ ঘুরিয়ে রাখা হয়েছে। দোতলা ও তিন তলায় কাগজপত্র, ফাইলপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।
অভিযানের সময় বিএনপির কোনো নেতা সেখানে ছিলেন না। খবর পেয়ে প্রথমে উপস্থিত হন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল।
পুলিশের এ অভিযান প্রসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করতেই উদ্দেশ্যমূলকভাবে তার কার্যালয়ে পুলিশি অভিযান চালানো হয়েছে।’
রিজভী আরো বলেন, ‘পুলিশ শূন্য হাতে ফিরে গেছে। খালেদা জিয়াকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করতেই ক্ষমতাসীন সরকার এই পুলিশি হানা দিয়েছে। এটা গণতন্ত্রের সভ্যতার চরম পরিপন্থী।’
দলীয়প্রধানের কার্যালয়ের অভিযান প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতেই সরকার বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে তল্লাশি চালিয়েছে। কোনো কারণ ছাড়াই খালেদা জিয়ার অফিসে পুলিশের তল্লাশি গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা।’

অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ