খুলে দেওয়া হলো বহুল কাঙ্ক্ষিত মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820

Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820

নিউজ ডেস্ক.


অবশেষে খুলে দেওয়া হলো বহুল কাঙ্ক্ষিত মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই ফ্লাইওভারের উদ্বোধন করেন।

    মৌচাক মোড়ে প্যান্ডেল তৈরি করে ডিজিটাল বোর্ডের মাধ্যমে এ ফ্লাইওভারের উদ্বোধন দেখানো হয়েছে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপারেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্যানেল মেয়র মো. ওসমান গণিসহ আওয়ামী লীগের নেতা ও দুই সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা।


      উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সবার প্রতি অনুরোধ, ব্যবহারে যত্নবান হবেন। ট্রাফিক রুল মেনে চলবেন। জাতীয় সম্পদ মনে রেখে সেটা ব্যবহার করবেন।

      তিনি বলেন, ‘২০০৭ সালের আগ থেকে ৭টি বছর দেশে উন্নয়নের কাজ থমকে ছিল। দেশে কোনো উন্নয়ন হয়নি। ২০০৮ সালে আমরা ক্ষমতায় এসে রাজধানীর যানজট নিরসনে নানা উন্নয়ন কাজ হাতে নেই।’

      প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন অর্থনৈতিক উন্নয়ন হচ্ছে, মানুষের আর্থক সচ্ছলতা বাড়ছে। আগে অবস্থাসম্পন্ন মানুষ একটা গাড়ি ব্যবহার করতেন, এখন হয়তো তার পরিবারই ২-৩টা গাড়ি ব্যবহার করে। ঢাকার যানজট এখন আর্থিক উন্নয়নের সূচক।’

      প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরই নগরবাসীর দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত এই ফ্লাইওভার জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এতে যানজটের তীব্র যন্ত্রণা থেকে নগরবাসী যেমন রেহাই পাবেন, তেমনি যাতায়াত সময়ও কমবে অনেক।

      এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ২১৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকার অর্থায়ন করেছে ৪৪২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি) এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ওএফআইডি) দিয়েছে ৭৭৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা।

      ৪ লেনের এ ফ্লাইওভারে ওঠানামার জন্য ১৫ র‌্যাম্প রয়েছে। তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা, এফডিসি, মগবাজার, হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল, বাংলামোটর, মালিবাগ, রাজারবাগ পুলিশ লাইন এবং শান্তিনগর মোড়ে ওঠানামা করার ব্যবস্থা রয়েছে। এটি রিখটার স্কেলে ১০ মাত্রার ভূমিকম্প সহনীয়। প্রতিটি পিলার পাইলের গভীরতা প্রায় ৪০ মিটার গভীর।

      ২০১৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ৯ কিলোমিটার লম্বা ফ্লাইওভারটির নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। ফ্লাইওভারটির কাজ তিন ভাগে করা হয়েছে। গত বছরের ৩০ মার্চ সাতরাস্তা-মগবাজার-হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল অংশে যান চলাচল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর ফ্লাইওভারের ইস্কাটন-মৌচাক অংশের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তৃতীয় ধাপে এফডিসি মোড় থেকে সোনারগাঁও হোটেলের দিকের অংশটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয় এ বছর ১৭ মে। এখন খুলে দেয়ার অপেক্ষায় রয়েছে ফ্লাইওভারের মগবাজার-মৌচাক-মালিবাগ-শান্তিনগর-রাজারবাগ অংশ।

      অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ