খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবন যাপন প্রতিবন্ধীর পরিবার

আবু জাহের, শেরপুর (বগুড়া) থেকে.

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের প্রতিবন্ধী মাহফুজার রহমান সপরিবারে এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। কোন রকমে পরিবারের লোকজনের মুখে ভাত জুটলেও মাথার উপর কোন ঠাই জোটেনি। শিশু কিশোর, নারী, যুবতী মেয়ে সহ পরিবার নিয়ে ভীতিকর অবস্থায় আতংকে রাত কাঁটছে। গত ১৫ মে কাল বৈশাখী ঝড়ে বসবাস করা ঘরবাড়ির উপর উপড়ে পরে একটি বড় পিঠাহারী গাছ। এতে বাড়ি সহ সকল আসবাবপত্র লন্ডভন্ড হয়ে যায়।
খামারকান্দি ইউনিয়নের তাইড়পাড়া গ্রামের আমজাদ হোসেন ছেলে প্রতিবন্ধি মাহফুজার রহমান শুক্কুর (২৫) তার বাড়ীর সঙ্গে লাগানো একটি বড়ধরণের পিটাহারী গাছ অনেকদিন যাবত কাঁটার চেষ্টা করলে প্রতিবেশি নুরুল ইসলাম তাতে বাঁধার সৃষ্টি করে। পরে প্রতিবন্ধী মাহফুজার রহমান স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ড সদস্যকে বিষয়টি জানানোর পরও নুরুল ইসলাম এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় কোন লাভ হয়নি। এমতঅবস্থায় গত ১৫ মে কাল বৈশাখী ঝড়ে ঐ বড় পিটাহারী গাছটি তার বাড়ীর উপর পড়ে আসবাবপত্র বাড়িটি একেবারেই লন্ডভন্ড হয়ে যায়। এতে ওই পরিবারে ৪ জন আহত হয়।
গত ১৭ মে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পিটাহারী গাছটি বাড়ির উপড়ে পড়ায় বাড়ির সব কয়টি রুম, ফ্রিজ, টিভি সহ সব আসবাবপত্র একেবারেই লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয় বলে বাড়ির মালিক জানায়।
তিনি আরো বলেন যদি আমি ওই গাছটি আগেই কাঁটতে পারতাম তাহলে আজকে আমার এতবড় ক্ষতি হতোনা। এ ব্যাপারে নুরুল ইসলাম জানান, গাছটি কোন সিমানায় এ নিয়ে দ্বন্দ্ব থাকায় আমি বাধা দিয়েছিলাম। কিন্ত ঝড়ে সেটি উপড়ে পরে তার বাড়ি লন্ডভন্ড হলে সে আমাকে হয়রানী করতে এই অভিযোগ দিয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিরাজুল ইসলাম জানান, লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ