গাইবান্ধায় এলপি গ্যাস সিলিন্ডারে চলছে সিএনজি


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820

 

গাইবান্ধা থেকে ফিরে শাফায়াত সজল (বগুড়া) .



    গাইবান্ধা জেলা শহরে যাত্রীবাহী তিন চাকা বিশিষ্ট থ্রী হুইলার সবুজ সিএনজি গুলোতে অবৈধ উপায়ে বাসা বাড়ির রান্নার কাজে ব্যবহৃত এলপি গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করা হচ্ছে অহরহ । সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে , শহরের স্টেশন রোড , বাস ষ্ট্যান্ড রোড ও খানকা শরিফ রোড সহ যে সকল রোডে তিন চাকা বিশিষ্ট থ্রী হুইলার সবুজ সিএনজি চলাচল করে তার প্রায় প্রতিটি গাড়িতে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করা হচ্ছে । যা যাত্রী ও চালক সহ আশেপাশের লোকজনের জীবন মারাত্বক হুমকির মুখে দন্ডায়মান । এক প্রকার অসাধু ব্যাবসায়ীরা আইনকে তোয়াক্কা না করেই বাসা বাড়ির রান্নার কাজে ব্যবহৃত এলপি গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারে চালক ও গাড়ির মালিকদের উদ্ভুদ্ধ করছে ।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চালক জানান , বগুড়া থেকে গ্যাস আনতে সময় ব্যয় হওয়ার পাশাপাশি হাইওয়ে তে পুলিশের নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে আমরা বিকল্প উপায়ে রান্নার কাজে ব্যবহৃত এলপি গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করি । এতে করে সময় ও পুলিশি হয়রানির পাশাপাশি অর্থ খরচ কিছুটা হলেও সাশ্রয় হয় ।

    এছাড়া অনেক ক্ষেত্রে গাড়ির মালিকেরাই সিলিন্ডার লাগিয়ে চালকদের গাড়ি চালাতে বাধ্য করছে ” । এ ব্যাপারে গাইবান্ধা জেলার ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন কর্মকর্তা এই প্রতিবেদককে জানান , “এই অবৈধ উপায় অবলম্বন করার ফলে যাত্রী ও চালক উভয়েই জেনে শুনে মৃত্যুকে বরণ করে নিচ্ছে । এলপি গ্যাস সিলিন্ডার যানবাহনে ব্যবহার করা অত্যান্ত ভয়ানক ও বিপদজনক” । ওয়্যার হাউজ পরিদর্শক শাখারিয়া হায়দার এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টি নিয়ে উর্দ্ধতন ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন ।

    এ বিষয়ে গাইবান্ধা বিআরটিএ এর সহকারী পরিচালক কাজী মোহাঃ মুরছালীন বলেন , সাধারনত গাড়ি ও সিএনজিতে যে সিলিন্ডার লাগানো হয় তা পরিক্ষিত , মজবুত ও নিরাপদ । এসব সিলিন্ডারে যে গ্যাস ভরা হয় তা প্রাকৃতিক ভাবে সংরক্ষিত । অপরদিকে রান্নার কাজে ব্যবহৃত এলপি গ্যাস সিলিন্ডারে যে গ্যাস ভরা হয় তা লিকিউফিড পেট্রোলিয়াম গ্যাস যা কখনো দূর্ঘটনা ঘটলে মারাত্বক ক্ষয়ক্ষতি সহ বিপুল প্রাননাশের সম্ভবনা থাকে” ।

    এব্যাপারে গাইবান্ধা পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম এর সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান , “এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে আমি অবগত নই , আপনার কাছ থেকেই প্রথমে জানলাম। এ ব্যাপারে তদন্তপূর্বক বিষয়টি জেনে যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে ”। বিষয়টি অতিদ্রুত প্রশাসনের নজরে নিয়ে যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছে সচেতন যাত্রীরা ।

    অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ