Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820
নিউজ ডেস্ক.
গাজীপুরের ভাওয়াল বদরে আলম সরকবারি কলেজের ছাত্র শাহাদাত হোসেন সোহাগকে হত্যার দায়ে ৯ জনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এ ছাড়া আসামিদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। অন্য একটি ধারায় ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১ হাজার টাকা করে জরিমানা, আরও একটি ধারায় ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত।
গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. ফজলে এলাহী ভূঁইয়া আজ বুধবার এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের জেলা শহরের নিয়ামত সড়ক এলাকার শামসুল হকের ছেলে সেলিম ও একই এলাকার আব্দুল সোবাহানের ছেলে আসাদুল ইসলাম, উত্তর ছায়াবীথি এলাকার নাজমুল হকের ছেলে জহিরুল ইসলাম ওরয়ে জাকির হোসেন ওরফে জন্টু, বিলাশপুর এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে জুয়েল, শেরপুরের ঝিনাইগাতী থানার বাঘেরভিটা এলাকার বাক্কা মিয়ার ছেলে বাক্কা সুমন, দক্ষিণ ছায়াবীথী এলাকার মো. আ. মালেকের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম ওরফে প্রিতম ওরফে প্রিতু ওরফে ইতু, রথখোলা এলাকার সিদ্দিকের ছেলে আরিফ, সামন্তপুর এলাকার লেহাজ উদ্দিনের ছেলে মো. হানিফ এবং উত্তরবিলাশপুর এলাকার মৃত আইয়ুর আলীর ছেলে রিপন আহমেদ জুয়েল।
তাদের মধ্যে সেলিম, হানিফ, জুয়েল এবং আসাদুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় বাকি ৫ জন উপস্থিত ছিলেন।
গাজীপুর আদালতের অতিরিক্ত পিপি মো. আতাউর রহমান জানান, নিহত সোহাগ গাজীপুরের ভাওয়াল বদরে আলম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। ২০১০ সালের ৮ জানুয়ারি সোহাগের বন্ধু বিহন কায়সার ফোন করে তাকে জেলা শহরের রাজবাড়ি মাঠে আসতে বলে।
সোহগ তার বন্ধু নাহিদকে সঙ্গে নিয়ে ওই মাঠে গিয়ে বিহন কায়সার, তার স্ত্রী আখি, হানিফসহ মামলার অন্য আসামিদের দেখতে পায়। সেখানে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আসামিরা ছুরি, কিরিচ, ক্রিকেটের স্ট্যাম্প ইত্যাদি নিয়ে সোহাগসহ তাদের ওপর হামলা করে। পরে সোহাগকে রিকশাযোগে হাসপাতালে নেয়ার পথে আবার হামলা ও ছুরিকাঘাত করে। শেষমেষ সোহাগকে হাসপাতালে নিলে কতর্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় সোহাগের পালিত বাবা আবুল হাসেম সুফি বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় মামলা করেন।