চাকরিপ্রার্থীদের বয়সসীমা ২১ মাস বাড়িয়েছে সরকার

করোনার পরিস্থিতির কারণে সরকারি চাকরিপ্রার্থীদের বয়সসীমা ২১ মাস মাস বাড়িয়েছে সরকার। গত বছরের ২৫ মার্চ থেকে চলতি বছরের পুরোটাই, অর্থাৎ ২১ মাস এই ছাড় দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

ফলে ২৫ মার্চের পর থেকে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে যাঁদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ ছাড়িয়ে গেছে বা যাচ্ছে, তাঁরা এই ছাড়ের সুবিধা পাবেন। অন্যদিকে ২৫ মার্চের আগের জন্য যে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল সেটি বহাল থাকবে।

অবশ্য বয়স ছাড়ের আওতায় বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত নয়। করোনাকালেও বিসিএসের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। তাই বিসিএসকে এই সুযোগের আওতামুক্ত রাখা হয়েছে।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার খবর দেয় সরকার। এই সংক্রমণ মোকাবেলায় ২৫ মার্চ থেকে টানা ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি ছিল। গত বছরের শেষের কয়েক মাস এবং চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত করোনা পরিস্থিতি অনেকটা সহনীয় ছিল। গত এপ্রিল থেকে আবার সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় নানা পর্যায়ে বিধি-নিষেধ জারি করা হয়। সর্বশেষ বিধি-নিষেধের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামীকাল ১০ আগস্ট।

করোনার কারণে সাধারণ ছুটি ও বিধি-নিষেধ চলাকালে বিসিএস ছাড়া অন্য সরকারি চাকরির বিজ্ঞপ্তি নিয়মিত প্রকাশিত হয়নি। একদিকে করোনার কারণে তরুণরা সরকারি চাকরি বঞ্চিত হচ্ছেন, অন্যদিকে সরকারি চাকরিতে বয়স বাড়ানোর একটি আন্দোলন করোনাকালের আগে থেকেই চলছিল। তাই সব মিলিয়ে করোনাকালকে বিবেচনায় নিয়ে আপাতত সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সের ক্ষেত্রে ২১ মাস ছাড় দেওয়া হয়।

সূত্র : ভোরের কাগজ

অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ