চাকরি ফিরে পাচ্ছেন বিএসএমএমইউ’র ১৪০ চিকিৎসক

নিউজ ডেস্ক.

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ১৪০ জন চিকিৎসককে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
১১ বছর আগে নিয়োগপ্রাপ্ত এই চিকিৎসকদের নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে পাঁচটি আপিলের শুনানি শেষে রবিবার এই আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ।
তবে চাকরিতে ফিরতে পারলেও ২০১৬ সালের মার্চ থেকে নতুন করে যোগদান পর্যন্ত সময়ের বেতন তারা পাবেন না। মাঝখানের এই সময়টুকু তাদের অবৈতনিক ছুটি হিসেবে গণ্য হবে বলে চিকিৎসকদের আইনজীবী তানিম হোসেইন জানান।
হাইকোর্টের রায়ের পর ২০১৬ সালের মার্চ থেকে এই চিকিৎসকরা বেতন পাচ্ছেন না। ওই বছরের এপ্রিল থেকে তাদের হাজিরা খাতাতেও সই করতে দেয়া হচ্ছিল না।
মামলাসূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালের ১৮ অক্টোবর চিকিৎসক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ। এর সূত্র ধরে ২০০৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০০৬ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত কয়েকশ’ চিকিৎসককে নিয়োগ দেয়া হয়। ওই বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) বর্তমান সভাপতি অধ্যাপক এম ইকবাল আর্সলান।
এই রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অবৈধ ঘোষণা করেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসকেরা আপিলের অনুমতির আবেদন (লিভ টু আপিল) করেন। শুনানির পর আপিল বিভাগে এই আবেদন খারিজ হয়।
এই খারিজের আদেশ পুনর্বিবেচনা চেয়ে ১১০ জন চিকিৎসক আবেদন (রিভিউ) করেন। এই আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৪ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগ রিভিউ গ্রহণ করে আপিল করার অনুমতি দেন। সেদিন আদালত রিভিউ আবেদনকারীদের চার সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সংক্ষিপ্তসার জমা দিতে এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এই সময়ের পরে আরও দুই সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সংক্ষিপ্তসার দিতে বলেন। এরপর ১৩৮ জন চিকিৎসক পৃথক পাঁচটি আপিল ও দুজন দুটি লিভ টু আপিল করেন।
গত ১৭ মে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি শেষ হয়, আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য ছিল।

অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ