জামালপুরে ভারতীয় বন্যহাতির উপদ্রব

নিউজ ডেস্ক.

বোরো ধানের মওসুম শুরুতেই ভারতীয় বন্যহাতির উপদ্রব্য বেড়েছে জামালপুরের বকশীগঞ্জে। হাতির উপদ্রবের উৎকন্ঠায় রয়েছে পাশের উপজেলা দেওয়ানগঞ্জের সীমান্ত এলাকার কৃষকরা। বন্যহাতির দল প্রতিদিন একরের পর একর বোরো ধান খেয়ে কৃষকদের সর্বশান্ত করে আসলেও প্রতিরোধের কোন উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের।
তবে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন খান বলেন, হাতির উপদ্রব থেকে পাহাড়ি জনপদের কৃষকদের ফসল ও জানমাল রক্ষায় বিদ্যুতের ব্যবস্থাসহ নানা উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
জামালপুরের বকশীগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী সাতানিপাড়া, বালুঝুরি, দিগলাকোনা ও সোমনাথপাড়াসহ অন্যান্য গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, প্রতিবছর আমন ও বোরো মওসুমে ধান পাকার শুরুতেই ভারতের মেঘালয় ও আসাম রাজ্যের গভীর অরণ্য থেকে বন্যহাতি দল বেধে নেমে আসে। চলতি বোরো মওসুমের ধান পাকার শুরুতেই বকশীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ি জনপদে প্রতিদিন রাতের আধাঁরে দল বেধেঁ নেমে আসছে ভারতীয় বন্যহাতি।
একাধিক হাতির দল প্রতিদিন একরের পর একর জমির বোরো ধান খেয়ে এবং মাড়িয়ে নষ্ট করে যাচ্ছে। গত ৫ দিনে শতাধিক একর জমির বোরো ধান বিনষ্ট করেছে বন্যহাতির দল। বন্যহাতির উপদ্রবের উৎকন্ঠায় রয়েছে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী ৫ গ্রামের মানুষ।
সাতানিপাড়া শফদর আলীসহ একাধিক বাসিন্দারা বলেন, সারা রাত জেগে আগুন জালিয়ে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করেও রক্ষা করতে পারছেন না তাদের কষ্টার্জিত ফসল। প্রতিবছর ভারতীয় বন্যহাতির দল আমন ও বোরো মওসুমে শত শত হেক্টর জমির ধানসহ অন্যন্য ফসল ও ঘরবাড়ি ক্ষতি করে আসছে বন্যহাতির দল।
নিজের উৎপাদিত ফসল রক্ষার জন্য হাতি তাড়ানো সময় ক্ষিপ্ত বন্যহাতির দল তান্ডব চালায় পুরো গ্রাম জুড়ে। তছনছ করে দেয় ঘর-বাড়ি। আবার হাতির আক্রমনের শিকার হয়ে হয়ে গত ৫ বছরে এই জনপদের ৭ জনকে প্রাণ দিতে হয়েছে।
বকশীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল হামিদ জানিয়েছেন, প্রতি বছর বোরো ও আমন মওসুমে ৫শতাধিক হেক্টর জমির ধান ছাড়াও অন্যান্য ফসল নষ্ট করছে ভারতীয় বন্য হাতি। বন্যহাতির উপদ্রব প্রতিরোধ করা না গেলে এঅঞ্চলের কৃষকদের রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।
বছরের পর বছর ভারতীয় বন্যহাতির দল পাহাড়ি জনপদের মানুষের ফসলসহ জানমালের ক্ষতি করে আসলেও স্থানীয় প্রশাসন কার্যকরি কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না। এমনি অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্থদের।
তবে জামালপুরের জেলা প্রশাসক শাহাবুদ্দিন খান বলেন, পাহাড়ি জনপদের মানুষের জনমাল রক্ষার জন্য সীমান্ত এলাকায় বিদ্যুৎ লাইন ও সোলার প্যানেল স্থাপনসহ নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ