Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820
নিউজ ডেস্ক.
জাল সার্টিফিকেট, বিআরটিএর জাল লাইসেন্স ও নম্বর প্লেট তৈরিকারী চক্রের সদস্য জাকির হোসেন বাবুল (৩২) ও মাসুদ হাওলাদারকে (৩৪) আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকার ডেমরা ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে র্যাব-১০। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ জাল সার্টিফিকেট, নম্বরপ্লেট, রেজিস্ট্রেশন কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ নানা সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে র্যাব-১০ এর পরিচালক ডিআইজি মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, মেডিক্যাল সার্টিফিকেটও জাল করে গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করত তারা। ১০ বছর ধরে এ চক্রটি তাদের কাজ চালিয়ে আসছিল। তারা অবৈধ গাড়ির জন্য নম্বর প্লেট, ড্রাইভিং লাইসন্স, রেজিস্ট্রেশন কার্ড, ইন্সুরেন্সসহ যাবতীয় জাল কাগজপত্র সরবরাহ করত, যাচাই-বাছাই ছাড়া খালি চোখে দেখে কখনো সেসব জাল কাগজপত্র শনাক্ত করা সম্ভব নয়।’
ডিআইজি শাহাবুদ্দিন খান জানান, জাকির হোসেন ২০০৮ সালে সোহরাওয়ার্দী কলেজ থেকে ডিগ্রি পাস করেন এবং মাসুদ ১৯৯৫ সালে নিউ পল্টন হাই স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। জাকির ২০০৩ সাল থেকে নীলক্ষেত এলাকায় একটি দোকানে সাইনবোর্ড, ব্যানার, সিল তৈরির আড়ালে বিভিন্ন জাল সার্টিফিকেটের ব্যবসা করে আসছিলেন। পরে নীলক্ষেতে নতুন ভবন তৈরির সময় থেকে ডেমরার নিজ বাসাতেই এসব জাল সার্টিফিকেটের ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। পরে তার সঙ্গে মাসুদ যোগ দেন।
চক্রটি বিভিন্ন প্রযুক্তি ও সরঞ্জামাদি ব্যবহার করে বিভিন্ন জাল সার্টিফিকেটসহ গাড়ির জাল নম্বর প্লেট, বিআরটিএ-্এর কার্ড ও হলোগ্রাম তৈরি করে আসছিল। তারপর গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী অর্থের বিনিময়ে দেশব্যাপী এসব সরবরাহ করত তারা।
ডিআইজি বলেন, বিভিন্ন সময় চোরাই গাড়ি ও মোটরসাইকেল আটক হয়, যেসব গাড়ির নম্বরসহ সকল কাগজপত্র থাকে ভুয়া। বিভিন্ন অবৈধ গাড়ির নম্বর প্লেটসহ যাবতীয় কাগজ, এমনকি ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স সরবরাহ করত তারা।
এই চক্রের সঙ্গে মার্কেটিং লেভেলে রিপন, আরিফ ও রফিকসহ বেশ কয়েকজনের জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনতে র্যাবের অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান তিনি।