জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ৪২৪ রান


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820

ক্রীড়া ডেস্ক.


দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে জয়ের জন্য বাংলাদেশের সামনে ৪২৪ রানের বড় টার্গেট দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সামনে রয়েছে ১দিন ও ২ সেশন।

    প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার ৪৯৬ রানের বিপরিতে বাংলাদেশ তুলেছিল ৩২০ রান। আর দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকরা ২৪৭ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। ফলে বাংলাদেশের সামনে টার্গেট দাড়ায় ৪২৪ রানের। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮১ রান আসে ডুফ্লেসিসের ব্যাট থেকে। এ ছাড়া ৭১ রান আসে বাভুমার ব্যাট থেকে। বাংলাদেশের বোলারদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ টি উইকেট নেন মমিনুল হক। এ ছাড়া ২টি উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান।

    এদিকে দ্বিতীয় ইনিংসে প্রোটিয়াদের হয়ে ওপেনিংয়ে নামেন মার্কারাম এবং ডিন এলগার। ইনিংসের অষ্টম ওভারে শফিউলের বলে এলবির ফাঁদে পড়েন এলগার। বিদায়ের আগে করেন ১৮ রান। দলীয় ৩০ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় দ. আফ্রিকা। দলীয় ৩৮ রানের মাথায় স্বাগতিকদের দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটান মোস্তাফিজ। দুর্দান্ত এক স্লোয়ারে উইকেটের পেছনে লিটন দাসের গ্লাভসবন্দি করেন অভিষিক্ত মার্কারামকে। বিদায়ের আগে তিনি করেন ১৫ রান। চতুর্থ দিনের শুরুতে মোস্তাফিজের দারুণ এক কাটারে উইকেটরক্ষক লিটন দাসের গ্লাভসবন্দি হন হাশিম আমলা। বিদায়ের আগে তিনি ৪৩ বলে করেন ২৮ রান।

    এরপর ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট করতে থাকা দলপতি ফাফ ডু প্লেসিস ১০১ বলে করেন ৮১ রান। মুমিনুলের বলে এলবির শিকার হয়ে ফেরার আগে তিনি ৬টি চারের সাথে একটি ছক্কা হাঁকান। এটি ছিল মুমিনুলের টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় উইকেট। প্রথমটি পেয়েছিলেন ২০১৩ সালে, চট্টগ্রামে। এরপর নিজের ক্যারিয়ারের তৃতীয় উইকেটটি নিতে ফিরিয়ে দেন তেমবা বাভুমাকে। উইকেটের পেছনে লিটনের গ্লাভসবন্দি হওয়ার আগে বাভুমা ১০৭ বলে সাতটি বাউন্ডারিতে করেন ৭১ রান। এক ওভার পরই মুমিনুল ফিরিয়ে দেন কুইন্টন ডি কককে। স্ট্যাম্পিং হয়ে ফেরার আগে তিনি করেন ৮ রান।

    এর আগে তৃতীয় দিনের তৃতীয় সেশনে গিয়ে ৩২০ রান তুলে নিজেদের প্রথম ইনিংসে অলআউট হয় ৮৯.১ ওভার খেলা বাংলাদেশ। শেষ ২৮ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সফরকারীদের হয়ে ওপেনিংয়ে নামেন লিটন দাস এবং ইমরুল কায়েস। ব্যক্তিগত ৭ রান করে কেগিসো রাবাদার লাফিয়ে ওঠা বলে খোঁচা মেরে স্লিপে মার্কারামের তালুবন্দি হন ইমরুল। ইমরুলের পর বিদায় নেন ২৯ বলে চারটি বাউন্ডারিতে ২৫ রান করা লিটন দাস। দলপতি মুশফিকুর রহিম কেশব মহারাজের বলে মার্কারামের তালুবন্দি হওয়ার আগে ৫৭ বলে সাতটি চার আর একটি ছক্কায় করেন ৪৪ রান। তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনে উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি ককের কাছে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।

    অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ