ঝিনাইদহে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চলছে : সুইসাইড ভেস্ট উদ্ধার

নিউজ ডেস্ক.

ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে দুটি বাড়ি ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান চলছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে উপজেলার ধানহাড়িয়া চুয়াডাঙ্গা গ্রামে সেলিম ও প্রান্ত নামের দুই ব্যক্তির বাড়ি ঘিরে ফেলে র‌্যাব। এরপর সকাল ৭টার দিকে অভিযান শুরু করা হয়। এখন পর্যন্ত এই দুই বাড়ি থেকে দুটি সুইসাইড ভেস্ট (আত্মঘাতী বন্ধনী) উদ্ধার করা হয়েছে।
ঝিনাইদহ র‌্যাব-৬-এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) রফিকুল ইসলাম আজ বেলা দেড়টায় সংবাদকর্মীদের জানান, গতকাল সোমবার রাতে সদর উপজেলার ধানহাড়িয়া চুয়াডাঙ্গা গ্রামে ওয়াহাব বিশ্বাসের বাড়ি থেকে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার দুই ব্যক্তির নাম সেলিম ও প্রান্ত। তারা নব্য জেএমবির সদস্য। তারা এই দুই বাড়ির মধ্যে তিনটি স্থানের তথ্য দিয়েছেন। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আজ ভোর থেকে এই দুই বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। একটি বাড়ির পাশের বাঁশ বাগান থেকে দুটি সুইসাইড ভেস্ট উদ্ধার করা হয়। বাকি দুটি স্থানে অভিযান অব্যাহত আছে।
ওই দুই স্থানেও গ্রেনেড, বোমা, বোমা তৈরির সরঞ্জাম আছে বলে ধারণা করছে র‌্যাব।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে ঝিনাইদহ র‌্যাব-৬-এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মুনির আহমেদ বলেন, বাড়ির ভেতরে মাটির নিচে বিস্ফোরক দ্রব্যসহ অন্য অস্ত্রশস্ত্র থাকতে পারে। বিস্ফোরক দলকে খবর দেওয়া হয়েছে, তারা পৌঁছালে তাদের নিয়ে আবার অভিযান চালানো হবে।
গত এক মাসের মধ্যে ঝিনাইদহে এ নিয়ে ৫টি জঙ্গি আস্তানার খোঁজ পেল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গত ২০ এপ্রিল সদর উপজেলার পোড়াহাটি গ্রামে আব্দুল্লাহ নামে ধর্মান্তরিত এক ব্যক্তির বাড়ি ঘিরে অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। দুই দিনের অভিযান শেষে ওই জঙ্গি আস্তানা থেকে ২০টি কেমিকেল কন্টেইনার, ৬টি বোমা, ৩টি সুইসাইড ভেস্ট, ৯টি সুইসাইড বেল্টসহ বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হলেও সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি।
এরপর গত ৫ মে মহেশপুর উপজেলায় এক বাড়িতে পুলিশের অভিযানে নব্য জেএমবির ২ জঙ্গি নিহত হন। আর সদর উপজেলার লেবুতলায় আরেক বাড়িতে পাওয়া যায় ৮টি বোমা ও একটি ৯ এমএম পিস্তল।
এর মধ্যেই ২৬ এপ্রিল চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের আরেক জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পাওয়া যায়। ওই অভিযানে ৪ জন নিহত হন, বাড়িতে পাওয়া যায় অস্ত্র ও সুইসাইড ভেস্ট।
আর সর্বশেষ ১১ মে রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে এক জঙ্গি আস্তানা ঘিরে পুলিশের অভিযানে এক পরিবারের ৫ জন নিহত হন, জঙ্গিদের হামলায় নিহত হন ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মী। ওই বাড়িতে পাওয়া যায় ১১টি বোমা ও একটি পিস্তল।

অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ