টানা বৃষ্টিতে রাঙামাটিতে ফের পাহাড়ধস


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820

নিউজ ডেস্ক.



    আজ সোমবার দুপুরে রাঙামাটিতে আবার পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। তবে টানা বৃষ্টি থাকায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ দুপুর ১২টার দিকে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের মানিকছড়ির দেপ্পোছড়ি এলাকায় একটি পাহাড়ের অংশবিশেষ ধসে পড়ে। এতে প্রায় এক ঘণ্টা ওই রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ থাকে।

    রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এমদাদ হোসেন জানান, পাহাড়ধসের পর রাস্তা পরিষ্কার করে যান চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    গতকাল রবিবার রাত থেকে রাঙামাটিতে টানা মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আজও সারাদিন বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানার পর জেলা প্রশাসন রোববার সন্ধ্যার পর থেকে মাইকিং করে সবাইকে সতর্ক করে। এরপর প্রায় সারা রাতই বৃষ্টি হয়েছে, যা এখনও অব্যাহত আছে।

    আবহাওয়ার পূর্বাভাসে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানার পর জেলা প্রশাসন রোববার সন্ধ্যার পর থেকে মাইকিং করে সবাইকে সতর্ক করে। এরপর প্রায় সারা রাতই বৃষ্টি হয়েছে যা একটানা এখনো অব্যাহত আছে।

    এই ধরণের বৃষ্টিতে সবার মধ্যেই নতুন করে পাহাড়ধসের আতংক সৃষ্টি হয়েছে।

    গত ১৩ জুন পাহাড় ধসের ঘটনায় রাঙামাটি শহরের ভেদেভদী, যুব উন্নয়ন বোর্ড শিমুলতলী, রুপনগর, মুসলিম পাড়া, মোনঘর এলাকা, ওমদা মিয়া হিলসহ বিভিন্ন স্থান থেকে ১৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে ক্ষতিগ্রস্থ ৩ হাজার ২শ জন নারী-পুরুষ ও শিশু আশ্রয় নেন। তবে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত হওয়ায় গেল রোববার রাঙামাটি সরকারী কলেজ ও বিএডিসি আশ্রয় কেন্দ্রসহ কয়েকটি আশ্রয় কেন্দ্র থেকে কিছু পরিবার নিজ বাড়ী ঘরে ফিরে গেছেন। তবে আজ সোমবার থেকে আবারও দিনভর থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হওয়ায় ও ঝুকিপুর্ণ অবস্থায় বসবাসকারীদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করায় আবারও আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিচ্ছেন।

    রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মো. মানজারুল মান্নান জানান, বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসের আশংকায় ঝুকিপুর্ণ এলাকায় যারা বসবাস করছে তাদের নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে মাইকিং করা হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পৌর এলাকায় কোথায় কোথায় ঝুকিপুর্ণ অবস্থায় লোকজন বসবাস করছে তা দেখতে এবং ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাসকারীদের নিরাপদ কেন্দ্রে নিয়ে আসার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যাতে পরবর্তীতে এ ধরনের পাহাড় ধসে কোন লোকজন দুর্ঘটনায় শিকার না হন।

    তিনি আরো বলেন, বৃষ্টিপাতের কারণে পুর্নবাসন কাজে হাত দেয়া যাচ্ছে না। তবে এ মাসের মধ্যে পূর্নবাসনের কাজটি শুরু করা হবে। ইতোমধ্যে পার্বত্য মন্ত্রনালয় থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী বুধবার গঠিত কমিটি রাঙামাটি সফরে আসবেন। এ কমিটি ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন, কেন পাহাড় ধস ঘটনা ঘটেছে,কোথায় ক্ষতিগ্রস্থদের পূর্নবাসন করা যায় ইত্যাদি বিষয়ে পরামর্শ দেবেন তারা।

    অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ