জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জামাতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী প্রখ্যাত পরমাণুবিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ মঙ্গলবার। ২০০৯ সালের ৯ মে তিনি ইন্তেকাল করেন।
ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বাণী দিয়েছেন। বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, গবেষণা ও রাজনীতিতে ড. ওয়াজেদ মিয়ার অবদান বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।
ওয়াজেদ মিয়ার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, বিজ্ঞানী ওয়াজেদ মিয়া মৌলিক মিথস্ক্রিয়া এবং কণা পদার্থবিজ্ঞান, অনু এবং পারমাণবিক চুল্লী, সলিড স্টেট ফিজিক্স, তড়িত্চুম্বকত্ব, স্বাস্থ্য ও বিকিরণ পদার্থবিদ্যা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ক্ষেত্রে গবেষণা করেন। ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণার পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতিতে নীরবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে গেছেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ষাটের দশকে ওয়াজেদ মিয়া ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ত হন। ১৯৬২ সালে আইয়ুব খানের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি গ্রেফতার হন এবং কিছু দিন জেল খাটেন।
দিবসটি পালনে পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ, এম এ ওয়াজেদ ফাউন্ডেশন এবং আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বিজ্ঞানীর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, ফাতেহা পাঠ ও জিয়ারত, স্মৃতিচারণ, মিলাদ মাহফিল ও গরিবদের মাঝে খাবার বিতরণসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
এ উপলক্ষে বিকেল ৪টায় ১৯, বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের ২য় তলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হইবে। এতে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এবং থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
১৯৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনার সাথে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে তিনি বঙ্গবন্ধুর পরিবারের পাশে থেকে তাঁদের সাহস ও শক্তি যুগিয়েছেন।
ওয়াজেদ মিয়া বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন পদে দক্ষতা ও সাফল্যের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর গবেষণা কর্মের পরিধি ছিল বিস্তৃত। ওয়াজেদ মিয়া বাংলাদেশ আণবিক শক্তি বিজ্ঞানী সংঘের দু’বার সাধারণ সম্পাদক ও পাঁচবার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ পদার্থ বিজ্ঞানী সমিতি, বাংলাদেশ বিজ্ঞান উন্নয়ন সমিতি, বাংলাদেশ বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞানজীবী সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন। ১৯৯৭ সালে তাঁরই পরামর্শ ও পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয় সমন্বিত উন্নয়ন ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়।
এম এ ওয়াজেদ মিয়া তাঁর কর্মের জন্য শুধু আমাদের কাছে নন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বেঁচে থাকবেন। বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গঠনে ড. ওয়াজেদ মিয়ার আদর্শ নতুন প্রজন্মের পাথেয় হয়ে থাকবেন বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া তাঁর কর্মের মাধ্যমে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে বেঁচে থাকবেন। সূত্র: বাসস