
আমিনুল ইসলাম শ্রাবণ.
ভর্তি পরীক্ষায় ১৮৪ তম স্থান অধিকার করেও ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি নিয়ে অনিশ্চিয়তায় পড়া অদম্য মেধাবী সবুজ হোসেনের পাশে দাড়িয়েছেন সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাবিবর রহমান। এতে মেধাবী সবুজ হোসেনের মলিন মুখে অবশেষে হাসি ফুটে উঠেছে। সবুজ হোসেন বগুড়ার ধুনট পৌর এলাকার জিঞ্জিরতলা গ্রামের ভ্যানচালক বেলাল হোসেনের ছেলে।
নানা প্রতিকূলতা মাড়িয়ে সবুজ ধুনট সরকারি এনইউ পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৭ সালে এসএসসি এবং ২০১৯ সালে ঢাকা নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ ৫ পেয়ে পাশ করেন। সবুজ মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর দেখা দেয় সংকট। পরিবারটির দূর্বিষহ জীবনের চিত্র তুলে ধরে শনিবার ধুনট বার্তা’র ওয়েবসাইটে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।
সংবাদটি পড়ার পর অবশেষে সবুজের এই বাধা দূর হয় বগুড়া-৫ আসনের (শেরপুর-ধুনট) জাতীয় সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাবিবর রহমানের উদ্যোগে। সবুজ ও তার পরিবার শনিবার রাতে সংসদ সদস্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসময় সংসদ সদস্য অদম্য মেধাবী সবুজের মেডিকেলে পড়ালেখার সহযোগিতাসহ তাদের পাশে থাকার ঘোষণা দেন। পরে সংসদ সদস্যের কন্যা ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ডা. ফারজানা দিবা প্রদত্ত ২০ হাজার টাকা সবুজের মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য তার হাতে তুলে দেওয়া হয়।
ভর্তির সামর্থ তার পরিবারের ছিল না উল্লেখ করে সবুজ হোসেন ধুনট বার্তাকে বলেন, আমাদের আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকায় পড়ালেখার জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে আমাকে। অনেক অসুবিধার মধ্যে থাকলেও আমি চেয়েছিলাম পড়াশুনায় ভালো রেজাল্ট করতে। পড়ালেখায় ভালো বলে স্কুল এবং কলেজের শিক্ষকরা আমাকে অনেক সাহায্য-সহায়তা করেছেন। তাদের সহায়তা না পেলে আজ আমি এতো দূর আসতে পারতাম না।
এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য অর্থ সংকট দেখা দেয়। এ বিষয়ে পত্রিকায় সংবাদ পড়ে স্থানীয় এমপি মহোদয়ের মাধ্যমে ২০হাজার টাকা পেয়েছি। এছাড়া দেশের বিভিন্ন এলাকার হৃদয়বান ব্যক্তিরা বিকাশ নম্বরের মাধ্যমে আমাকে প্রায় ১০ হাজার টাকা দিয়েছেন। অনেকে মেডিকেল কলেজে পড়ার খচর দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। সবার প্রতি আমি চির কৃতজ্ঞ।


