ধুনটের হাটে অভিযান : ২১মন ভেজা পাট জব্দ

ফজলে রাব্বী মানু.

বগুড়ার ধুনট উপজেলা সদরের হাটে অভিযান চালিয়ে ভেজা পাট বিক্রয়ের চেষ্টার অভিযোগে তিন কৃষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করেছে পাট অধিদপ্তর।

শনিবার এ অভিযান পরিচালনা করেন বগুড়া পাট অধিদপ্তরের মূখ্য পরিদর্শক ডাঃ সোহেল রানা। এ সময় তিন কৃষকের কাছ থেকে বিভিন্ন জাতের ২১ মন ভেজা পাট জব্দ করা হয়।

অভিযুক্ত কৃষকেরা হলেন, ধুনট উপজেলার বিলচাপড়ী গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে বাবু মিয়া, নারায়নপুর গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে সোলায়মান হোসেন ও সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উজেলার কাজেম উদ্দিনের ছেলে মসলিম উদ্দিন।  

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালের দিকে বিভিন্ন এলাকার কৃষকেরা ধুনট হাটে পাট বিক্রয়ের জন্য আসেন। বাজারে এবার পাটের ভাল দাম পাচ্ছেন কৃষকেরা। তারপরও বেশী লাভের আশায় হাটে ভেজা পাট বেচাকেনা হচ্ছে। এমন সংবাদ পেয়ে হাটে অভিযান চালান পাট অধিদপ্তরের মুখ্য পরিদর্শক। তার উপস্থিতি টের পেয়ে ভেজা পাট বোঝাই অটোভ্যান রেখে কৌশলে হাট থেকে সটকে পড়ের কৃষকেরা। এসময় কৃষক বাবু মিয়ার ১১মণ, সোলায়মান হোসেনের ৫ মণ ও মসলিমের ৫ মণ ভেজা পাট জব্দ করা হয়।        

পাট ব্যবসায়ী লিয়াকত আলী, ছোহরাব হোসেন ও হাফিজুর রহমান ধুনট বার্তাকে জানান, অসাধু কতিপয় ক্ষুদ্র (ফড়িয়া) ব্যবসায়ী কৃষকের বাড়ি বাড়ি থেকে পাট কিনে নিয়ে ওজন বৃদ্ধির জন্য ভিজিয়ে বাজারে বিক্রি করেন। এছাড়া কতিপয় কৃষকও এ ধরণের কাজ করে থাকেন। এতে পাটের গুনগত মান খারাপ হয়ে যায়।

বগুড়া পাট অধিদপ্তরের মুখ্য পরিদর্শক ডাঃ সোহেল রানা ধুনট বার্তাকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ভেজা পাট দিয়ে তৈরী পণ্য টেকসই হয় না। এটা পাটজাত পণ্যের জন্য ক্ষতিকর দিক। তাই অভিযান চালিয়ে এসব অসাধু ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় ধুনট হাট থেকে ভেজা পাট  জব্দ করে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ