ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি.
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় গত এক সপ্তাহে দফায় দফায় বৃষ্টিপাতে নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে কৃষকের বোরো ধান, পাট, টমেটো, মরিচ, পোটলসহ মৌসুমী ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি বিভাগ ও কৃষকের তথ্যমতে, উপজেলায় ৫৪হাজার কৃষক ১৫হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করেছেন। এরমধ্যে ১১হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে উফশী এবং ৪হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে হাইব্রীড জাতের ধান রয়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে কৃষকের প্রায় ২০ হেক্টর নি¤œাঞ্চলের জমির ধানক্ষেত পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। কেটে নেওয়ার আগ মুহুর্তে ধানক্ষেত পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় কৃষকের মাঝে হাহাকার দেখা দিয়েছে। পানি জমে থাকায় এসব জমির ধান নষ্ট হওয়ার আশংকা রয়েছে। এ কারনে বিভিন্ন এলাকায় কৃষক পানিতে তলিয়ে যাওয়া ক্ষেতের কাঁচা-পাকা ধান কেটে নিচ্ছেন। সরেজমিনে উপজেলার পাকুড়িহাটা, ঈশ্বরঘাট, বিলচাপড়ী, হেউনগর, রামনগর গ্রামে কৃষককে বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়া ক্ষেত থেকে বোরো ধান কাটতে দেখা যায়। এছাড়া যমুনা, ইছামতি ও বাঙ্গালী নদীরের তীরবর্তী এলাকায় পানিতে তলিয়ে যাওয়া ধান কেটে নিচ্ছেন কৃষক। এছাড়া মৌসুমী ফলের মুকুল ও ফল ঝড়ে কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
হেউটনগর গ্রামের কৃষক সোলায়মান আলী জানান, দু’সপ্তাহ পর পাকা ধান ঘরে তোলা সম্ভব হতো। গত কয়েক দিনে দফায় দফায় অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে ধান ক্ষেত পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ফসলের ক্ষতি হবে। এজন্য ক্ষেতের আধাপাকা ধান কেটে নিতে হচ্ছে। একই গ্রামের কৃষক আব্দুর রশিদ বলেন, ক্ষেতে পানি থাকায় ধানের ক্ষতি হয়েছে। অথচ অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করে ধান কাটতে হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বৃষ্টির পানিতে নি¤œাঞ্চলে ফসলের ক্ষেত প্লাবিত হয়েছে। এরমধ্যে ব্রি ধান ২৮ কাটার উপযোগী হওয়ায় কৃষককে ধান কেটে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।