
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ৪০পিস ‘ট্যাপেন্টাডল’ ট্যাবলেটসহ মো. রঞ্জু আলম (২৪) নামে এক মাদক বিক্রেতাকে আটক করেছে পুলিশ। এই ট্যাবলেটটি ইয়াবার বিকল্প মাদক হিসেবে সেবন করা হয়ে থাকে।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাত পৌনে ৮টার দিকে উপজেলার নিমগাছী ইউনিয়নের জয়সিং বটতলা এলাকা থেকে রঞ্জু আলমকে আটক করা হয়। গ্রেফতারকৃত রঞ্জু আলম ওই ইউনিয়নের ধামাচামা গ্রামের মো. আব্দুল হালিমের ছেলে।
ধুনট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আসাদুজ্জামান ধুনট বার্তাকে জানান, মঙ্গলবার রাত পৌনে ৮টার দিকে জয়সিং এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে ৪০ পিস অবৈধ মাদক ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ রঞ্জু আলমকে আটক করা হয়। পরে ধুনট থানায় ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ বুধবার তাকে থানা থেকে বগুড়ার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে এসআই আসাদুজ্জামান ধুনট বার্তাকে আরও জানান, ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট দেখতে ইয়াবার মতো। কিন্তু এটি ইয়াবা নয়। এটি মূলত ব্যথানাশক ওষুধ। ইয়াবা আর হেরোইনের বিকল্প হিসেবে এ ট্যাবলেট অনেকেই সেবন করে থাকেন।
এর আগে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের প্রস্তাব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের সুপারিশের ভিত্তিতে সরকার ২০২০ সালের ৮ জুলাই ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট নিষিদ্ধ করে। ফলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৬৫ ধারা অনুযায়ী ওই আইনে ‘খ’ শ্রেণির মাদকদ্রব্য হিসেবে টাপেন্টাডলকে তফসিলভুক্ত করা হয়।


