Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় খাদুলী উচ্চ বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মোর্তজা ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ব্যবস্থাপনা কমিটির কার্যক্রমে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞাসহ সভাপতি ও প্রধান শিক্ষককের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্য আব্দুর রউফ বাদি হয়ে আদালতে মোকদ্দমা করায় আদালত এ আদেশ দিয়েছে।
উপজেলার খাদুলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে রয়েছেন জামিল উদ্দিন এবং ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির পদে রয়েছেন মথুরাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোর্তজা। দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে বিদ্যালয়ের সভাপতি বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন দাবি করে ১৬ জানুয়ারী বগুড়া আদালতে মামলা করেছেন কমিটির অভিভাবক সদস্য আব্দুর রউফ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটিকে না জানিয়ে খাদুলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামিল উদ্দিন এবং সভাপতি গোলাম মোর্তজা যোগসাজস করে বিদ্যালয়ের মালিকানাধীন একটি পুকুর এবং ধানী জমি লীজ দিয়েছে। বিদ্যালয়ের সরকারি ও বেসরকারি খাত হতে অর্জিত আয় বিদ্যালয়ের কাজে ব্যয় না করে আত্মসাৎ করে আসছে।
বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে রোপনকৃত বিভিন্ন জাতের প্রায় ৩০টি মূল্যবান গাছ কেটে বিক্রি করে অর্থ আত্মসাৎ করেছে। এছাড়াও তারা গত বছরের জুলাই মাসে স্থানীয় একটি পত্রিকায় পরিচ্ছন্নতাকর্মী, নিরাপত্তাকর্মী এবং আয়া পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এ বিষয়টিও তারা পরিচালনা কমিটির অন্যান্য সদস্যদের না জানিয়ে করেছেন। গত ২০২১ সালের ১ ডিসেম্বর তারা গোপনে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে পরিচ্ছন্নতাকর্মী, নিরাপত্তাকর্মী এবং আয়ার নিয়োগ প্রক্রিয়া চুড়ান্ত করেছে। বিষয়টি নিয়ম বহির্ভুত।
উপজেলার খাদুলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মর্তুজা ও প্রধান শিক্ষক জামিল উদ্দিন ধুনট বার্তাকে বলেন, ২১ দিনের মধ্যে জবাব চেয়ে আদালতের কারণ দর্শানোর নোটিশটি হাতে পেয়েছিন। নির্ধারিত তারিখের মধ্যে নোটিশের জবাব দেয়া হবে।
