ধুনটে ইছামতি নদীগর্ভে ঘরবাড়ী বিলীন

আমিনুল ইসলাম শ্রাবণ.


বগুড়ার ধুনট উপজেলা সদরে ইছামতি নদীতে ভয়াবহ ভাঙ্গনে ঘরবাড়ী নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙ্গন আতংকে রয়েছে অসংখ্য পরিবার। অথচ নদীর ভাঙ্গন রোধে কোন উদ্যোগ গ্রহন করা হয়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এক সময়ের খর¯্রােতা ইছামতি নদী বর্তমানে বছরের বেশী সময়ে মরা খালে পরিনত হয়। তবে বর্ষা মৌসুমে যৌবণ ফিরে পায় এ নদী। চলতি বছরের বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে কানাই কানাই পূর্ণ হয়ে ওঠে ইছামতি নদী। তবে বর্তমানে নদীতে পানি কমেছে। এদিকে নদীর পানি কমার সাথে সাথে পৌর এলাকার সদরপাড়া গ্রামে নদীর তীরে ভাঙ্গন শুরু হয়। গত এক সপ্তাহে নদীর ভাঙ্গনে উপজেলা যুবলীগের সদস্য জর্জিস আলম ও পিটুনী খাতুনের ঘরবাড়ী নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদী ভাঙ্গনের হুমকিতে রয়েছে আরো ১২টি পরিবার। এদিকে নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে বসতবাড়ী রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসনের কোন উদ্যোগ নেই।

নদী ভাঙ্গনে ভিটে হারানো যুবলীগ নেতা জর্জিস আলম বলেন, প্রায় এক সপ্তাহ যাবত নদীতে ভাঙ্গন দেখা দেয়। নদীর তীরে ভাঙ্গন শুরু হওয়ার পর পৌরসভার মেয়র কে অবগত করা হয়েছে। কিন্তু নদীর ভাঙ্গন রোধে স্থানীয় প্রশাসন কোন উদ্যোগ নেয়নি। আর এ কারনে এক সপ্তাহের মধ্যে তার বসতভিটা নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এমনকি নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ এ পরিবারটির খোঁজ খবর নেয়নি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। এক প্রশ্নের জবাবে জর্জিস আলম জানান, দ্রুত নদী ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আরো কয়েকটি পরিবারকে বসত ভিটা হারাতে হবে।

ধুনট পৌরসভার মেয়র এজিএম বাদশাহ্ বলেন, ওই স্থানে দীর্ঘ যাবত পানির স্রোতে নীচ থেকে মাটি সরে গিয়ে জায়গাটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ছিল। সম্প্রতি সেখানে ধ্বসে গেছে। শুস্ক মৌসুম ছাড়া সেখানে কাজ করা সম্ভব নয়। তবে এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও উপজেলা প্রশাসনের সহায়তা নিয়ে আগামীতে কাজ করা হবে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে সরকারি ভাবে সহায়তা দেওয়া হবে।


অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ