
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় শিল্প গ্রাহকের কাছ থেকে উৎকোচ আদায়ের অভিযোগে পল্লী বিদ্যুতের লাইন টেকনেশিয়ান জিল্লুর রহমানকে শাস্তিমুলক বদলি করা হয়েছে। ধুনট জোনাল অফিস থেকে তাকে গাবতলী উপজেলায় বদলি করা হয়।
বুধবার পল্লী বিদ্যুতের ধুনট জোনাল অফিসের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মাহবুব জিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, লাইন টেকনেশিয়ান জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে একাধিক গ্রাহকের নানান ধরনের অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে ২৪ ডিসেম্বর তাকে গাবতলী উপজেলায় বদলি করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার অলোয়া গ্রামের ফরহাদ হোসেনের বিদ্যুৎ চালিত ধান ভাঙ্গানো যন্ত্র (রাইস মিল) রয়েছে। ওই রাইস মিলে প্রায় ৮ হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়ে। এ কারণে ৭ অক্টোবর লাইন টেকনেশিয়ান জিল্লুর রহমান ওই মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এসময় মিলের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। পরের দিন জিল্লুর রহমান ওই শিল্প গ্রাহকের কাছ থেকে ২ হাজার ৪৫০টাকা উৎকোচ নিয়ে পুনরায় সংযোগ চালু করে দেয়।
এ অবস্থায় ফরহাদ হোসেন বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে। রাইস মিল চালু থাকলেও ১ ডিসেম্বর পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা সহ ফরহাদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের নোটিশ পাঠানো হয়। এতে বিপাকে পড়েন ফরহাদ হোসেন। এ ঘটনায় শিল্প গ্রাহক ফরহাদ হোসেন ৮ডিসেম্বর জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে উপ মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) বরাবর লিখিত অভিযোগ করে।
এ বিষয়ে লাইন টেকনেশিয়ান জিল্লুর রহমান বলেন, শিল্প গ্রাহক ফরহাদ হোসেন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। তবে চাকরী বিধি মোতাবেক আমাকে ধুনট থেকে গাবতলী অফিসে বদলি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) নতুন কর্মস্থলে যোগদান করেছি।


