ধুনটে কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ

বগুড়ার ধুনট উপজেলার বড়িয়া কওমী মাদ্রাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে সাকিবুল হাসান সাকিব (১১) নামে এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। সাকিব উপজেলার বড়িয়া গ্রামের এনামুল হকের ছেলে।

এ ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যার দিকে ওই শিক্ষক রাশেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীর দাদি মিলনা খাতুন বাদি হয়ে এ অভিযোগ করেন। এর আগে শনিবার সন্ধ্যার দিকে বড়িয়া কওমী মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সাকিবের বাবা-মা দীর্ঘদিন ধরে জীবিকার তাগিদে ঢাকায় অবস্থান করেন। প্রায় তিন বছর ধরে সাকিব বড়িয়া কওমী মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগে আবাসিক হোস্টেলে থেকে লেখাপড়া করে। ইতিমধ্যেই সাকিব ১২ পারা কোরআন হেফজ করেছে।

এ অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যার দিকে শিক্ষক রাশেদুলের কাছে পড়া শোনাতে থাকে। কিন্তু পড়ায় ভূল করায় সাকিবকে পেটানো শুরু করে শিক্ষক রাশেদুল। একপর্যায়ে সাকিবের গলা ধরে মাটিতে আছাড় মারেন ওই শিক্ষক। আতংকিত হয়ে সেখান থেকে দৌড় দিয়ে সাকিব তার দাদির বাড়িতে চলে যায়। বাড়িতেই তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করেন ওই শিক্ষক। কিন্তু সাকিবের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে রোববার রাতে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

উপজেলার বড়িয়া কওমী মাদ্রাসার শিক্ষক রাশেদুল ইসলাম বলেন, পড়া মুখস্থ বলার সময় ভূল করায় সাকিবকে কয়েকটি শাসন করা হয়েছে। তবে অসাবধানতাবসত বেশী আঘাত পেয়েছে। এ বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমঝোতা করে নিয়েছি।

ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ নাজনীন নাহার বলেন, সাকিবের শরীরে বেশ কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ধুনট থানার এসআই মুঞ্জুর মোর্শেদ মন্ডল বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাবিকের চিকিৎসার খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে।

অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ