বগুড়ার ধুনট উপজেলায় মাথার খুলি ও মানবদেহের ৯টি হাড় উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার বিকেল ৫টায় ধুনট সদরের বেলকুচি পশ্চিমপাড়ার একটি ধান ক্ষেতে এসব পাওয়া যায়।
পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, বেলকুচি গ্রামে মমতাজুর রহমানের জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করেন একই গ্রামের আলতাফ হোসেন। সোমবার সকালে ওই জমিতে ৬জন শ্রমিক ধান কাটা শুরু করেন। এক পর্যায়ে ধান ক্ষেতের মাঝখানে মাটি চাপা দেওয়া স্থান দেখতে পায় শ্রমিকরা। সেখান থেকে দুঃর্গন্ধ ছড়ানোর কারনে কোদাল দিয়ে সামান্য গর্ত করতেই বেরিয়ে আসে হাড্ডি। খবর পেয়ে বিকাল ৫টায় ঘটনাস্থলে পৌছে পুলিশ। পরে ওই গর্ত খুড়ে মাথার খুলি ও হাত-পায়েরসহ মানবদেহের ৯টি হাড় উদ্ধার করে। এসময় সেখানে পুরানো চেক লুঙ্গীও পায় পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীরা ধারনা করছেন, অন্যত্র হত্যা করে মাথার খুলি, হাড়-হাড্ডি লুঙ্গীতে মুড়িয়ে এনে ধান ক্ষেতে পুতে রেখেছে ঘাতকরা। এদিকে চালাপাড়া গ্রামের নবা আকন্দের স্ত্রী সাহেরা খাতুন ওই হাড়-হাড্ডি তাঁর নিখোঁজ স্বামীর বলে দাবী করছেন। সাহেরা খাতুন জানান, চালাপাড়ার মধ্যপাড়া গ্রামের হাফেজ আলী আকন্দের ছেলে নবা আকন্দ শতবর্ষী বৃদ্ধ। গত ১২ দিন যাবত তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া লুঙ্গী নবা আকন্দের পড়নে ছিল।
বেলকুচি গ্রামের কৃষি শ্রমিক রইচ উদ্দিন বলেন, ওই জমি থেকে আলতাফ হোসেনের ধান কাটছিলাম। জমির মাঝামাঝিতে যখন ধান কাটতে যাই তখন দুঃর্গন্ধ নাকে আসে। পরে সেখানে মাটিচাপার চিহ্ন দেখতে পাই। কোদাল দিয়ে সেখানে সামান্য গর্ত করতেই হাড্ডি দেখতে পেয়ে লোকজনকে খবর দেই।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মানবদেহের আকৃতির মাথার খুলি ও হার-হাড্ডি উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলো ফরেনসিক বিভাগে পাঠিয়ে মানবদেহের কিনা পরীক্ষা করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মানবদেহের প্রমানিত হওয়ার পর ডিএনএ পরীক্ষা ও অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।