ধুনটে গ্রাহকের কোটি টাকা আত্মসাত : এমডি অবরুদ্ধ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820

    বগুড়ার ধুনট উপজেলায় একটি বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলীর  বিরুদ্ধে গ্রাহকের প্রায় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জমা রাখা টাকা ফেরতের দাবিতে বিক্ষুদ্ধ গ্রাহকেরা এমডিকে এনজিও কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে।  

    রোববার দুপুর ১ টার দিকে ধুনট শহরের উত্তর অফিসারপাড়া এনজিও কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। শাহ আলী সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার পারুলকান্দি গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে। আগামী ২৪ জুনের মধ্যে গ্রাহকদের টাকা ফেরতের আশ্বাসে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দিয়ে তিনি বিকেল ৫টার দিকে মুক্তি পেয়েছেন। বর্তমানে বগুড়া বনানী এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন শাহ আলী।

    জানা গেছে, শাহ আলী ২০১০ সালে প্রাপ্তি সঞ্চয় ও ঋণদান সমিতি নামে একটি এনজিও গড়ে তোলেন। সেখানে তিনি অধিক লাভের লোভ দেখিয়ে সদস্য সংগ্রহ শুরু করেন। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে পল্লী গ্রগতি সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেড নামে সমবায় অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধন করে নেন। তিনি ধুনট শহরের উত্তর অফিসার পাড়ায় নিজস্ব বাসায় এনজিও কার্যক্রম চালাতে থাকেন। ওই এনজিওতে ৩০ জন শেয়ার হোল্ডার সদস্য, ১০ জন ডিপিএস এবং ২৫০ জন সাধারণ সঞ্চয় ও ঋণের সদস্য রয়েছে।

    শাহ আলী এসব গ্রাহকের কাছ থেকে আট বছরে প্রায় কোটি টাকা সংগ্রহ করেছেন। সর্বশেষ ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত গ্রাহকদের সাথে লেনদেন চলেছে। ২০২২ সালের জানুয়ারী মাস থেকে হঠাৎ করেই এনজিওর সদস্যদের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন শাহ আলী। এতে বেকায়দায় পড়েছেন প্রায় ২৮০জন গ্রাহক। রোববার দুপুরে শাহ আলী গোপনে ওই এনজিও কার্যালয়ে আসলে গ্রাহকরা টের পেয়ে তাকে অবরুদ্ধ করে।

    সমিতির শেয়ার হোল্ডার সদস্য পারুলকান্দি গ্রামের রফিকুল ইসলাম ধুনট বার্তাকে জানান, তিনি একজন রিক্সা চালক। ছয় বছর ধরে তিনি এ এনজিওতে টাকা জমা রাখেন। তিনি এ পর্যন্ত ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা জমা করেছেন। গত ছয় মাস ধরে লভ্যাংশ দিচ্ছেন না। এখন তারা মূল টাকা ফেরত নিতে এসেছেন।

    একই গ্রামের হাসারানী ধুনট বার্তাকে জানান, তার ছেলে বিদেশ থেকে টাকা পাঠায়। সেই টাকা এনজিওতে জমা রেখেছেন। ছয় মাস পর আজ অফিসে আসার খবর পেয়ে তিনি টাকা ফেরত নিতে এসেছেন। এছাড়াও একই এলাকার ববিতা খাতুন, আতাউর রহমান, চাদনী আক্তার ও খোদেজা খাতুনসহ প্রায় শতাধিক গ্রাহক তাদের জমা রাখা টাকা ফেরত নিতে এসেছেন।

    এ বিষয়ে এনজিওর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলী ধুনট বার্তাকে জানান, করোনার কারনে গ্রাহকের কাছ থেকে ঋণের টাকা উত্তোলন করতে না পারায় সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। প্রত্যেক গ্রাহককে তাদের জমা রাখা টাকা ফিরিয়ে দেয়া হবে। গ্রাহকের দাবির মুখে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দিয়ে তাদের শান্ত করা হয়েছে।

    ধুনট থানার ও‌সি কৃপা সিন্ধু বালা ধুনট বার্তাকে বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ