Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820

আমিনুল ইসলাম শ্রাবণ.
বগুড়ার ধুনট পৌর এলাকার পশ্চিম ভরনশাহী গ্রামের প্রয়াত ফজলুল হক টুনুর বসত বাড়ি অগ্নিকান্ডে ভস্মিভূত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টায় টেলিভিশন বিস্ফোরণ থেকে এ ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রয়াত ফজলুল হক টুনুর স্ত্রী রহিমা বেগম ছোট ছেলে বেলজিয়ামের পরিবার নিয়ে ওই বাড়িতে বসবাস করেন। তাঁর বড় ছেলে বায়েজিদ হক চাকুরীর কারনে অন্য জেলায় অবস্থান করে। সম্প্রতি বেলজিয়াম স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে কক্সবাজার ভ্রমনে যায়। এ কারনে রহিমা বেগম ছোট ছেলের শ্বাশুড়ীকে সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে অবস্থান করছেন। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁরা টেলিভিশন দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পরেন। রাত দেড়টায় চালু থাকা ওই টেলিভিশন বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের শব্দে তাদের ঘুম ভেঙ্গে যায়। এসময় তারা আগুনের ফুলকি ঘরে থাকা গ্যাসের সিলিন্ডারের পাইপ লাইনের উপর দেখতে পেয়ে দ্রæত ঘর থেকে বেরিয়ে যান। পরে রহিমা বেগম প্রতিবেশিদের ডাকতে থাকেন। কিন্তু মুহুর্তের মধ্যে আগুন চারপাশে ছড়িয়ে যায়। স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পরে স্থানীয় দমকল বাহিনী আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়। প্রায় দেড় ঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এরআগেই পুরো বাড়ির কয়েকটি ঘর সম্পূর্ণ ভস্মিভূত হয়ে যায়।
রহিমা বেগম বলেন, টেলিভিশন বিস্ফোরণের শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায়। কিন্তু ঘুম ভাঙ্গার পর গ্যাস সিলিন্ডারের কাছে আগুন দেখে ভয়ে আমরা ঘর থেকে বেরিয়ে যাই। তিনি জানান, অগ্নিকান্ডে ঘরে থাকা নগদ অর্থ, ৫টি ছাগল, ধান এবং সংসারের প্রয়োজনীয় সকল জিনিসপত্র পুড়ে গেছে। আগুনের কাছ থেকে কিছু রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। এতে তাঁর প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে।
ধুনট ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ শামীম রেজা এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রনে আসার পূর্বেই বাড়ির আসবাবপত্র পুড়ে ভস্মিভূত হয়েছে।
