আবু সুফিয়ান.
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় প্রথম স্ত্রীকে মারধার করায় দ্বিতীয় স্ত্রীসহ স্বামীকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। সোমবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে মারধরের এ ঘটনা ঘটে। পরে থানা পুলিশ দন্ডপ্রাপ্ত স্বামী-স্ত্রীকে কারাগারে পাঠিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধুনট সদরের চান্দারপাড়া গ্রামের রঞ্জু সরকারের মেয়ে রোজিনা বেগমকে (২২) এক দশক আগে উপজেলার কাদাই গ্রামের এফাজ উদ্দিন প্রামানিকের ছেলে বাবু মিয়া (২৬) বিয়ে করে। বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী দু’জনই জীবিকার তাগিদে ঢাকায় পোশাক শ্রমিকের কাজ করতো। তাদের দাম্পত্য জীবনে একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। কিন্তু পরবর্তিতে আর্থিক দন্যতায় তাদের দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হয়। বিষয় গুলো নিয়ে একাধিক গ্রাম্য বিচার হয়েছে। এদিকে রোজিনা বেগমের অনুমতি না নিয়ে ৩ মাস আগে কুনকুনিয়া গ্রামের আমজাদ প্রামানিকের মেয়ে আনজু আরা (২৩) কে বিয়ে করে বাবু মিয়া। এদিকে স্বামী দ্বিতীয় বিবাহ করায় ৭ বছর বয়সি মেয়ে যুঁথি আকতারকে নিয়ে বিপাকে পড়ে রোজিনা বেগম। ফলে সে স্বামীর বিরুদ্ধে দু’মাস পূর্বে বগুড়ার আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। ওই মামলার তদন্তের দায়িত্বপান উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ওবায়দুল হক। সোমবার মামলাটির তদন্তের স্বার্থে দু’পক্ষকে নিজ কার্যালয়ে ডাকেন ওই কর্মকর্তা। সেখানে রোজিনা বেগম উপস্থিত হলে ক্ষিপ্ত হয়ে যায় স্বামী বাবু মিয়া ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী আনজু আরা। বেলা সাড়ে ১১টায় সমাজসেবা অফিসের সামনে রোজিনা বেগমকে মারধর করে বাবু মিয়া ও আনজু আরা। এসময় রোজিনা বেগমকে তাদের হাত থেকে রক্ষা করেন স্থানীয় লোকজন। তারা দ্বিতীয় স্ত্রীসহ বাবু মিয়াকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করে। আদালতে শুনানি শেষে নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা দ্বিতীয় স্ত্রীসহ বাবু মিয়াকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ওবায়দুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, দন্ডপ্রাপ্তদের থানা পুলিশ কারাগারে পাঠিয়েছে।