ধুনটে নতুন করে স্বপ্ন বুনছে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820

Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820

আমিনুল ইসলাম শ্রাবণ.


বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বন্যার ক্ষতি মাথায় নিয়ে নতুন করে জমিতে স্বপ্ন বুনছে কৃষক। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে মৌসুমী ফসল নতুন করে চাষাবাদ শুরু করেছে।

    কৃষি বিভাগের তথ্যমতে চলতি আমন ধানের মৌসুমে ১৫হাজার ৯৮০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এরমধ্যে প্রায় ১৩ হাজার ৫৪০ হেক্টর জমিতে কৃষক চাষাবাদ শুরু করে। জমিতে বেড়ে উঠছিল কৃষকের সবুজ স্বপ্ন। বাতাসে দোল খায় স্বপ্নের আমন চারা গুলো। কিন্তু আকর্ষিক বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয় ২০হাজার ৪০০ কৃষকের ৫হাজার ২০০ হেক্টর ফসলের ক্ষেত। এরমধ্যে ৪ হাজার ৪২০ হেক্টর জমির চাষাবাদ সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। এবারের বন্যায় ধুনট উপজেলায় কৃষকের প্রায় ৫২ কোটি ৫৫ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে। বন্যার ক্ষতিতে বিশেষ করে প্রান্তিক ও বর্গা চাষীরা বিপাকে পড়েছেন।

    সরেজমিনে দেখা যায়, কৃষকের স্বপ্ন দগ্ধ হয়ে জমিতে ফুটে উঠেছে বন্যার ক্ষত চিহ্ন। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চায়। এজন্য বন্যার ক্ষত চিহ্নের বুকে চাষাবাদ শুরু করেছে কৃষক। চাষাবাদের উপযোগী করা হচ্ছে জমি। কোথাও কোথাও নতুন করে জমিতে স্বপ্ন বুনছে ক্ষতিগ্রস্থরা কৃষকরা। সরকারি হিসেবে প্রায় ৪হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আবারো ধান চাষ করা হবে। এছাড়াও সরিষা, টমেটো ও শীতকালীন সবজি চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছে কৃষক। তবে নতুন করে চাষাবাদে কিছু প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। এলাকায় আমন ধানের চারা সংকট রয়েছে। বাজারে চারার দেখা মিললেও কৃষককে প্রায় দ্বিগুন দামে কিনতে হচ্ছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক চাষাবাদে সরকারি সহায়তা কামনা করেন।

    রামনগর গ্রামের কৃষক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আকর্ষিক বন্যার পানিতে ধান ক্ষেতের ক্ষতি সাধন হয়। বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় জমি নতুন করে চাষাবাদের প্রস্তুতে নেওয়া হচ্ছে। একই গ্রামের নজরুল ইসলাম বলেন, ধানের চারা সংকট রয়েছে। নতুন করে চাষাবাদে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হচ্ছে। কৃষকরা চাষাবাদে সরকারি সহায়তা কামনা করেন।

    উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বন্যায় কৃষকের ফসলের ক্ষতি সাধন হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের সরকারি ভাবে বীজ-সার সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। সরকারি বরাদ্দ পেলে কৃষকদের সহায়তা প্রদান করা হবে।


      অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ