ধুনটে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শহীদ মিনার ভাঙ্গার অভিযোগ


আমিনুল ইসলাম শ্রাবণ.

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ভান্ডারবাড়ী ছালেহা জহুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনের শহীদ মিনারটি ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অর্ধশত নেতাকর্মী তাদের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর দাখিল করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক দশক আগে ভান্ডারবাড়ী ছালেহা জহুরা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে একটি শহীদ মিনার নির্মান করা হয়। শহীদ মিনারটিতে প্রতিবছর বিভিন্ন জাতীয় দিবসে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী। কিন্তু ১৫ ডিসেম্বর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্থানান্তরের নামে শহীদ মিনারটি ভেঙ্গে ফেলেছে। ফলে বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারেনি বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজন। এতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও স্থানীয় এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযোগকারীদের পক্ষে উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল বারিক ধুনট বার্তাকে বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিজয়ের মাসে শহীদ মিনার ভেঙ্গে জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তানদের অবমাননা করেছেন। আমরা বিজয় দিবসে শহীদ মিনারে শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পমাল্য অর্পন করতে পারিনি। এ বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার দাবি করছি।

উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ছালেহা জহুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী ধুনট বার্তাকে জানান, বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক উপজেলা প্রশাসনের নিকট আবেদনের প্রেক্ষিতে ১৭ ডিসেম্বর শহীদ মিনারটি স্থানান্তরের জন্য ভাঙ্গা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে বিদ্যালয়ের নির্ধারিত স্থানে উন্নতমানের শহীদ মিনার নির্মান কাজের ভিত্তি প্রস্তুর স্থাপন করা হয়েছে।

ধুনট উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিয়া সুলতানা ধুনট বার্তাকে বলেন, বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির রেজল্যুশনমূলে শহীদ মিনার স্থানান্তরের জন্য আমার নিকট আবেদন করেছেন। তবে শহীদ মিনার স্থানান্তরের বিষয়ে প্রধান শিক্ষককে অনুমতি দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে স্থানীয়দের অভিযোগটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।



অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ