Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820
আমিনুল ইসলাম শ্রাবণ.
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় সোমবার বন্যা পরিস্থিতি ছিল অপরিবর্তিত। রোববার রাতে যমুনা নদীতে পানি ১ সেন্টিমিটার কমেছে। তবে সোমবার সকাল থেকে আবারো পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। উজানে তিস্তা ব্যারাজের সব গুলো গেট খুলে দেওয়ায় পানি আরো বেশি বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এদিকে বন্যা দূর্গত এলাকায় মানুষের চরম দূর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে জানা যায়, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গত বৃহস্পতিবার থেকে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। শুক্রবার নদীর তীর উপচে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। শনিবার থেকে ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের মাধবডাঙ্গা, পুকুরিয়া, ভূতবাড়ী, ভান্ডারবাড়ী, রাধানগর, কৈয়াগাড়ী, বানিয়াজান, শিমুলবাড়ী, সহড়াবাড়ী ও বৈশাখী চরের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। পানিবন্দি এলাকার অসংখ্য ঘরবাড়ীতেও বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। বন্যার পানিতে ওই জনপদের ১৯৫ হেক্টর ক্ষেতের পাট, আউষ, ভুট্রা, আখ, মরিচ ও শাক-সবজি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তাছাড়া শিশুদের নিরাপত্তার কারনে পানিবন্দি এলাকার ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১টি নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে পানিবন্দি এলাকার মানুষ ঘরবাড়ী ছেড়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন। অনেকে পানিবন্দি বসতবাড়ীতে অবস্থান করছেন। বন্যা দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট ও স্বাস্থ্য সম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা না থাকায় দূর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত বন্যা দুর্গতদের জন্য সরকারি ত্রাণ সহায়তার উদ্যোগ দেখা যায়নি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্যমতে এ পর্যন্ত সরকারি ভাবে কোন ত্রাণ সামগ্রী বরাদ্দ হয়নি। অপরদিকে সোমবার সকাল থেকে কয়েক দফা বৃষ্টিপাতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রিতদের চরম দূর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।সোমবার সংসদ সদস্য আলহাজ্ব হাবিবর রহমান বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি বন্যা দুর্গত মানুষের খোঁজ খবর নেন। এছাড়া দ্রুত ত্রাণ সহায়তা পৌছে দেওয়ার প্রতিশ্রুত দেন তিনি। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তৌহিদুল আলম মামুন ধুনট বার্তাকে বলেন, বগুড়ার অন্যান্য উপজেলায় ইতিমধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হেয়ছে। অথচ সোমবার পর্যন্ত ধুনটের বন্যা দূর্গত মানুষের জন্য সরকারি ত্রাণ সহায়তার বরাদ্দ মেলেনি।