আমিনুল ইসলাম শ্রাবণ.

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় যমুনা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ফুটো দিয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করছে পানি। এতে বাঁধ ভেঙ্গে বন্যার আশংকায় এলাকায় আতংক বিরাজ করছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড লোকালয়ে পানি প্রবেশে বন্ধ করতে কাজ শুরু করেছে। ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের ভূতবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৭ বছর আগে উপজেলার ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের কাজীপুর উপজেলার ঢেকুরিয়া সীমান্ত থেকে ভান্ডারবাড়ী পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করা হয়। পুরানো এ বাঁধটি সংস্কার কাজ করা হয়নি। সম্প্রতি উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে যমুনা নদী ফুঁসে ওঠে। নদীর তীর উপচে পানি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আঘাত করে। রোববার দুপুরে ভূতবাড়ী এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ফুটো দিয়ে পশ্চিম তীরে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে শুরু করে। স্থানীয় এক গৃহবধূ বিষয়টি দেখতে পেয়ে এলাকাবাসীকে খবর দেন। স্থানীয়দের মতে ইদুরের গর্তদিয়ে এ পানি পশ্চিম তীরে প্রবেশ করছে। পানির সাথে বাঁধের বালিও আসতে শুরু করে। বাঁধের পশ্চিম তীরে পানি প্রবেশের স্থানে একটি পুকুর রয়েছে। এ কারনে পানি চারপাশে ছড়িয়ে পড়েনি। এদিকে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি তাৎক্ষনিক পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের অবগত করেন। খবর পেয়ে বাঁধের ফুটো দিয়ে পানি প্রবেশ বন্ধ করতে কাজ শুরু করেন পাউবো কর্মকর্তারা। বাল ভর্তি বস্থা দিয়ে সেখানে বাঁধ মেরামতের কাজ চলছে। এদিকে ওই বাঁধের বিভিন্ন স্থানে এমন গর্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে স্থানীয় লোকজন বাঁধ ভাঙ্গার আশংকা করছেন। বাঁধ ভাঙ্গলে ধুনট, শেরপুর ও কাজীপুর উপজেলার অন্তত ৭০টি গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হওয়ার আশংকা রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী হারুনর রশীদ ধুনট বার্তাকে বলেন, বাঁধের ফুটো দিয়ে পশ্চিম তীরে পানি আসতেছিল। খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক বালুর বস্তা দিয়ে রিং করে দেওয়া হয়েছে। এতে পানি আসা বন্ধ হয়ে গেছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাঁধ ভাঙ্গার কোন আশংকা নেই।


