Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820
আমিনুল ইসলাম শ্রাবণ.
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বাঙ্গালী নদীর বাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে প্রবেশ করছে বন্যার পানি। এতে বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাত ১টায় উপজেলার নিমগাছী ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামে বাঙ্গালী’র শাখা নদীর মুখে বাঁধটি ভেঙ্গে যায়। বাঁধ ভাঙ্গা বন্যায় প্রায় ৩০টি গ্রামের লাখো মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিমগাছী ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামে বাঙ্গালী নদীর পূর্বপাশে একটি শাখা নদী ছিল। স্থানীয় লোকজনের কাছে শাখা নদীটি নান্দিয়ারপাড়া মোর্চা নামে পরিচিত। ২০১৪ সালে স্থানীয় লোকজন শাখা নদীর মুখে বাঁধ নির্মাণ করে। বুধবার দিবাগত রাত ১টায় বাঁধটি ভেঙ্গে যায়। ভাঙন স্থান দিয়ে প্রবল স্রোতে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটায় সরেজমিনে জানা যায়, বাঁধের ভাঙ্গন স্থান দিয়ে পানি প্রবেশ করে ফরিদপুর, নান্দিয়ারপাড়া, শিয়ালী গ্রামের বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে কৃষকের ধান, মরিচ, বেগুন, লাউ, কলা, পেঁপে, হলুদ, আদা, পোটলসহ মৌসুমী ফসলের ক্ষেত। বিস্তৃর্ণ এলাকার ২ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ছে। বাঁধ ভাঙ্গা পানির প্রবল স্রোতে মগরব আলী, নায়েব আলী, সোহরাওয়ার্দী ও আবু সাঈদের বাড়ী ভাঙ্গনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। পানিতে তলিয়ে আশিকুর রশিদ মানিক, সুলতান মাহমুদ ও সুজাউদৌলা রিপনের জলাশয়ের কয়েক লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। স্থানীয় লোকজনের তথ্যমতে বাঙ্গালী’র পানি প্রবাহের পথরোধ করা এ মুহুর্তে সম্ভব নয়। এ কারনে ধুনট উপজেলার কমপক্ষে ৩০ গ্রামের লাখো মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এদিকে বাঁধে ভাঙ্গন না বাঁধ কেটে বন্যা, তা নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে।
নান্দিয়ারপাড়া গ্রামের দিলারা বেগম জানান, ঋণের টাকা দিয়ে ১৪ শতক জমিতে মরিচ চাষ করেছিলাম। বাঁধ ভেঙ্গে বন্যার পানি প্রবেশ করায় মরিচের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। বন্যার কারনে এবার মানবেতর জীবন যাপন করতে হবে। বৃদ্ধ দুদু প্রামানিক বলেন, ৮৮ সালের পর বাঙ্গালী নদীর বন্যায় এবারই আক্রান্ত হলো কয়েকটি গ্রামের মানুষ। অতর্কিত বাঁধ ভেঙ্গে পানি প্রবেশ করায় তারা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হলেন।
নিমগাছী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সুজাউদৌলা রিপন বলেন, ফরিদপুর গ্রামে বুধবার দিবাগত রাত ১টায় বাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। এতে ধুনট উপজেলায় কমপক্ষে ৩০টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাঁধের ভাঙ্গন স্থানে পানি প্রবাহ বন্ধ করা সম্ভব নয়।