ধুনটে বালু উত্তোলন ও বিক্রির দায়ে ৫জনের নামে মামলা

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ইছামতি নদী খননের নামে একাধিক স্থান থেকে খনন যন্ত্র (ড্রেজার মেশিন) দিয়ে বালু উত্তোলন ও বিক্রির অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। মঙ্গলবার চৌকিবাড়ী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা সানাউল হক এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জুয়েল তালুকদার ও চার সহযোগিকে আসামী করা হয়েছে। এছাড়া বালু উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত ৬টি ড্রেজার মেশিন জব্দ করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, নাব্যতা ফেরাতে ইছামতি নদী খননের কাজ চলছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বগুড়া ও সিরাজগঞ্জ এর যৌথ তত্ত্বাবধায়নে নদী খননের জন্য কয়েকটি ভাগে ঠিকাদার নিযুক্ত করা হয়। এরমধ্যে ধুনটের সীমান্তবর্তী পাইকপাড়া এলাকা হতে ভানুডাঙ্গা পর্যন্ত নদী খনন কাজের ঠিকাদার নিযুক্ত হোন সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জুয়েল তালুকদার। নিয়মানুযায়ী এক্সেভেটর (ভেকু) মেশিন দিয়ে নদীর তলদেশ খনন করার কথা। কিন্তু ঠিকাদার নদীর কয়েকটি স্থানে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করেছে। এছাড়া ওই বালু তারা বিক্রি করে আসছিল।

এদিকে সোমবার দুপুরে ধুনট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুরুল আমিন সেখানে অভিযান চালান। অভিযানকালে বালু উত্তোলন ও বিক্রির কাজে জড়িতরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এসময় বালু উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত ৬টি ড্রেজার মেশিন জব্দ করা হয়। যা চৌকিবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাসানুল করিম পুটু’র জিম্মায় রাখা হয়। এছাড়া ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা সানাউল হককে মামলা দায়ের করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

ঠিকাদার জুয়েল তালুকদার বলেন, ইছামতি নদী খনন প্রকল্পের কাজ পেয়েছি। কিন্তু কাজটি সাব ঠিকাদার নিয়োগ দিয়ে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে সেখানে কি পদ্ধতিতে বালু উত্তোলন হচ্ছে বা কারা বালু বিক্রি করছে, তা আমার জানা নেই।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুরুল আমিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বালু উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত ৬টি ড্রেজার মেশিন জব্দ করা হয়। এছাড়া বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ধুনট থানার ওসি রবিউল ইসলাম বলেন, নদী খননের নামে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার অভিযোগে একটি মামলা রেকর্ড হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ