ধুনটে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে এমপির স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820

Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820

    বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বিএনপির এক নেতার বিরুদ্ধে জাতীয় সংসদ সদস্যর (এমপি) স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে ডিও লেটার তৈরীর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এমপির ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) কোরবান আলী মিলন বাদি হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।

    শনিবার ধুনট থানার এসআই আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করে ধুনট বার্তা‌কে বলেন, সংসদ সদস্যর স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগটি থানায় সাধারণ ডাইরী (জিডি নং ৩৪১) হিসেবে রেকর্ড করে তদন্ত করা হচ্ছে। পরবর্তিতে উদ্ধর্তন পুলিশ কর্মকর্তার সাথে আলোচনা সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ঝিনাই ফাজিল মাদরাসার ব্যবস্থা কমিটি গঠনের জন্য একজন বিদ্যেৎসাহী সদস্য মনোনয়ন নেওয়া প্রয়োজন। বিধি মোতাবেক এমপির ডিও লেটারের মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিদ্যেৎসাহী সদস্য মনোনিত করা হয়।

    এ অবস্থায় বগুড়া-৫ আসনের (শেরপুর-ধুনট) জাতীয় সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাবিবর রহমানের স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে আব্দুল লতিফ ভুলু নামে বিএনপির এক নেতাকে বিদ্যেৎসাহী সদস্য মনোনয়ন দিয়ে ডিও লেটার তৈরী করা হয়। বিদ্যেৎসাহী সদস্য পদ অনুমোদনের জন্য ২০২১ সালের ২৪ ডিসেম্বর এমপি স্বাক্ষরিত এই ডিও লেটারটি ঢাকা মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডে পাঠানো হয়েছে। আব্দুল লতিফ ভুলা উপজেলার বড় চাপড়া গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে। তিনি চিকাশি ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য। ডিও লেটারের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য ঢাকা মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড থেকে ৩ ফেব্রুয়া‌রি সংসদ সদস্যর কাছে ফোন করেন। তখন এ বিষয়টি সংসদ সদস্যর নজরে আসে। এ ঘটনায় এমপির ব্যক্তিগত সহকারী কোরবান আলী মিলন বাদি হয়ে ৯ ফেব্রুয়া‌রি একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

    এ বিষয়ে আব্দুল লতিফ ভুলু ধুনট বার্তা‌কে জানান, সংসদ সদস্যর স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে ডিও লেটার তৈরী করে আমাকে বিদ্যেৎসাহী সদস্য মনোনিত করার বিষয়টি
    আমি থানা পুলিশের কাছ থেকে জেনেছি। তবে এ ঘটনার সাথে আমি জড়িত না। এ ধরণের কোন কিছু ঘটে থাকলে তা মাদরাসার অধ্যক্ষ বলতে পারবেন।

    এদিকে সংসদ সদস্যর স্বাক্ষর জালিয়াতির ঘটনাটি ফাঁস ও থানায় অভিযোগের বিষয়টি জানার পর থেকে ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ আমান উল্লাহ পলাতক রয়েছেন। তার সাথে মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এছাড়া একই এলাকায় মাজবাড়ি গ্রামে তার বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। এ কারণে কোন ভাবেই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

    ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা ধুনট বার্তা‌কে বলেন, সংসদ সদস্যর স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে ডিও লেটার তৈরীর অভিযোগটি তদন্তের জন্য পুলিশ কর্মকর্তা (এসআই) আসাদুজ্জামানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

      অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ