
বগুড়ার ধুনট উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বেলকুচি গ্রামের রফিকুল ইসলাম শাহীনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। সমন্বিত গ্রাম উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান ও মেসার্স খোকন ট্রেডার্সের স্বত্তাধিকারী বেলকুচি গ্রামের শরিফুল ইসলাম খোকন বাদি হয়ে থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বাঙালি, করতোয়া, ফুলজোড়, হুরাসগর নদী পুনঃখনন ও তীর সংরক্ষন প্রকল্পের আওতায় সরকারিভাবে উপজেলার শাকদহ এলাকায় মাটি-বালু উত্তোলন করে একটি ডাইক তৈরি করা হয়। পরবর্তীতে দরপত্রের মাধ্যমে জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ব্যবসায়ীকে নদীর তীর এলাকা থেকে ১৮ লাখ ঘনফুট মাটি-বালু অপসারণের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। অবশিষ্ট মাটি-বালু স্থানীয় ভূমি মালিকদের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে শরিফুল ইসলাম খোকন ব্যবসার জন্য জাহাঙ্গীর আলমের ক্রয়কৃত ও স্থানীয় ভুমি মালিকদের কাছ থেকে সকল বালু ক্রয় করে মাটি-বালু অপসারণ করতে থাকেন। ইতিমধ্যে প্রায় ১০ লাখ মাটি-বালু অপসারণ করা হয়েছে।
এ অবস্থায় শরিফুল ইসলাম খোকনের কাছ থেকে বেলকুচি গ্রামের রমজান আলীর ছেলে সাবেক বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম শাহীন ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। কিন্ত চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় রফিকুল ইসলাম শাহীন ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এক পর্যায়ে ১৬ মার্চ বিকেল ৩টায় রফিকুল ইসলাম শাহীন ও তার লোকজন শাকদহ গ্রামে ওই মাটি-বালু পয়েন্টে যান। সেখানে শরিফুল ইসলাম খোকনের মাটি-বালু পয়েন্টের ম্যানেজার কোয়েল সরকারের কাছ থেকে চাকুর ভয় দেখিয়ে মাটি-বালু বিক্রয়ের ৭৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
এ ঘটনায় ২১ মার্চ শরিফুল ইসলাম খোকন বাদি হয়ে বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম শাহীনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। শরিফুল ইসলাম খোকন উপজেলার বেলকুচি গ্রামের আব্দুস ছালামের ছেলে। এদিকে থানায় মামলা দায়ের করায় আসামিরা ক্ষুব্ধ হয়ে শরিফুল ইসলাম খোকনকে শাকদহ পয়েন্ট থেকে মাটি-বালু অপসারণ বন্ধ করে দিয়েছে।
ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম বলেন, এ মামলার আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে।

