
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ভুট্টার খেত থেকে তাজমুল আকন্দ (৩৬) নামের এক যুবকের মৃতুদেহ উদ্ধার হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। তাজমুল আকন্দ উপজেলার গোসাবাইবাড়ী ইউনিয়নের নিজ নাটাবাড়ী গ্রামের মৃতু আব্দুস সামাদের ছেলে।
রোববার রাত ৯টার দিকে নাটাবাড়ী গ্রামের বটগাছ তলায় একটি দোকানে তাজমুল আকন্দ চা পান করেন। পরে তাকে বাড়ির দিকে ফিরে যেতে দেখা যায়। তবে স্বজনরা বলছেন রাতে তাজমুল আকন্দ আর বাড়ি ফেরেনি। সোমবার সকাল ৭টার দিকে নুরুল ইসলাম নামের এক শিক্ষক তাঁর জমি দেখতে গিয়ে ভুট্টার খেতে তাজমুলের মৃতদেহ দেখতে পান। তাজমুলের বাড়ি থেকে ওই ভুট্টা খেতের দুরুত্ব মাত্র ১০০ মিটার। পরে স্থানীয়রা থানা পুলিশকে অবগত করেন। দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে। পরে ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। নিহত তাজমুল আকন্দ নিয়মিত মাদকদ্রব্য সেবন করতো বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসী। তারা ধারনা করছেন অতিরিক্ত মাদক সেবনের কারনের তার মৃত্যু হতে পারে।

তাজমুলের স্ত্রী রঞ্জনা খাতুন বলেন ‘আমার স্বামী মাদকাসক্ত ব্যক্তি। মাদক সেবনের টাকার জন্য বাড়িঘর সব বিক্রি করে দিয়েছে। সেকারনে প্রায় দুই বছর ধরে স্বামীর বাড়ি থেকে তিন সন্তান নিয়ে ঢাকায় অবস্থান করছি। মাঝে মাঝে মোবাইলে কল করে টাকা দাবী করতো। এ কারণে স্বামীর সাথে আমার কোন যোগাযোগ ছিল না’।
তাজমুলের বড় ভাই নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘তাজমুলের সাথে কারো শত্রæতা নেই। রাতের বেলায় সে কোনো ভুট্টার খেতে যাবে এবং কি কারনে সে মারা গেছে, তা ধারনা করতে পারছি না’।
ধুনট থানার ওসি রবিউল ইসলাম বলেন, ‘তাজমুলের শরীরের কোন আঘাতের চিহ্ন ছিলা না। হত্যার বিষয়ে পরিবারের কোন অভিযোগ নেই। তবে মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি’।

