ধুনটে ভ্রাম্যমান ক্লিনিকে ফসলের চিকিৎসা


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820

Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820

আমিনুল ইসলাম শ্রাবণ.


বগুড়ার ধুনট উপজেলা ভ্রাম্যমান ফসলের ক্লিনিকে কৃষকের ফসলের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার উপজেলার কালেরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ব্যাতিক্রমী এ আয়োজন করে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। দিনব্যাপী এ ক্লিনিকে প্রায় ২ শতাধিক কৃষক ফসলের চিকিৎসা নিয়েছেন।

    বগুড়ার ধুনট উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের নিত্তিপোতা গ্রামের কৃষক জাকির আলী ১ বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। মোজাইক ভাইরাস ও শোশক পোকার আক্রমনে তার মরিচ ক্ষেতে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

      এতে মরিচ চাষে লোকসানের সম্ভাবনায় দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন কৃষক জাকির আলী। ভ্রাম্যমান ফসলের ক্লিনিকের কথা শুনে রোগে আক্রান্ত মরিচ গাছ নিয়ে এসেছেন তিনি। চিকিৎসকদের গাছ দেখিয়ে রোগের বর্ননা করছিলেন তিনি। গাছ ও বর্ননা শুনে তাকে আশ্বস্ত করলেন কৃষিবিদরা। মোজাইক ভাইরাস ও শোশক পোকা থেকে ফসল রক্ষায় ব্যবস্থাপত্র দিলেন ভ্রাম্যমান ফসলের ক্লিনিকের চিকিৎসক। এছাড়া নিয়মানুযায়ী ঔষধ ব্যবহারের দিক নির্দেশনা দিলেন তারা।

      ভ্রাম্যমান ডিজিটাল ফসল ক্লিনিকের ধান, মরিচ, সরিষা, শাকসবজি, কলা ও পেঁপেসহ বিভিন্ন ফসলের রোগ বালাই প্রতিরোধে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বিশেষ করে ধানের পাতা মোড়ানো রোগ, মরিচের মোজাইক ভাইরাস, গোড়াপোচা রোগ ও মাজরা পোকা প্রতিরোধ এবং কারেন্ট পোকা মোকাবেলায় কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া চাষাবাদ ও ফসলের পরিচর্যায় কৃষকের করনীয় সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ কৃষিবিদগণ দিন নির্দেশনা দিয়েছেন। তাছাড়া ডিজিটাল সার সুপারিশ, কৃষি কল সেন্টারে সেবা পাওয়ার পদ্ধতি এবং ই-কৃষি সম্প্রসারণ সেবা সম্পর্কে কৃষকদের অবহিত করা হয়। উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের উদ্যোগে ২০১৬ সাল থেকে ধুনট উপজেলায় ভ্রাম্যমান ডিজিটাল ফসল ক্লিনিকের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

      ক্লিনিকে নিত্তিপোতা গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম এসেছিলেন ধানের পাতামোড়ানো রোগের চিকিৎসা নিতে। দেড় বিঘা জমিতে তিনি ধান চাষ করেছেন। এরমধ্যে প্রায় ১ বিঘা জমিতে পাতা মোড়ানো রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে। এ রোগের ফলে পাতায় বসে গাছের রস চুষে নেওয়া হয়। এতে ফলন বিপর্যয় ঘটে। ভ্রাম্যমান ক্লিনিকে ফসলের চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। রফিকুল ইসলাম বলেন, ফসলের সমস্যা হলে ব্যবসায়ীর পরামর্শ বা নিজেরা ইচ্ছেমত ঔষধ নিয়ে জমিতে দিয়ে থাকি। এতে কাজ না হয়ে উল্টো অর্থ ব্যয় হয়। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের পরামর্শ ভাল লেগেছে। সঠিক ভাবে কীটনাশক ব্যবহারের জন্য তাদের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

      ক্লিনিকে কৃষকদের পরামর্শ দেন উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম, সুকান্ত কুমার মদক, শাহীনুর ইসলাম ও বিমল চন্দ্র।

      উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ফসলের ক্ষেতে রোগ বালাই আক্রমন করলে কৃষক হাতুড়ে পদ্ধতি অবলম্বন করেন। অসচেতনতার জন্য অসংখ্য কৃষক কৃষিবিদদের পরামর্শ গ্রহন করে না। সচেতনা সৃষ্টির লক্ষ্যে ভ্রাম্যমান ফসলের ক্লিনিক করা হয়েছে। এতে ফসলের চিকিৎসা, অন্যদিকে কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ গ্রহনের বিষয়ে সচেতন করা হয়।

      অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ