ধুনটে মহিলা লীগ নেত্রীকে শ্লীলতাহানি : বিয়াই গ্রেপ্তার


বগুড়ার ধুনট উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সুলতানা জাহানকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগে করা মামলায় জহুরুল ইসলাম (৪২) নামে তার বিয়াইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার বিকেলের দিকে তাকে ধুনট থানা থেকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

জহুরুল ইসলাম শিমুলবাড়ি গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে ও ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের সদস্য শরীফা খাতুনের স্বামী। জহুরুল ইসলামের ছেলের সাথে সুলতানা জাহানের মেয়ের বিয়ে হয়েছে। সুলতানা জাহান উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের স্ত্রী।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের অসহায় ও দুস্থ মানুষের মাঝে বিতরণের জন্য সরকারিভাবে শীতবস্ত্র হিসেবে ২৫০টি কম্বল বরাদ্দ ছিল। গত ২৭ ডিসেম্বর সকালে ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সেই কম্বলগুলো বিতরণ শুরু করা হয়। বেলা ১১টার দিকে জহুরুল ইসলাম ও তার লোকজন কম্বল বিতরণে বাধা দেন।

এসময় ইউনিয়ন পরিষদের সচিব এবং ট্যাগ অফিসার উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার সাথে তাদের কথাকাটাকাটি হয়। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের জন্য প্যানেল চেয়ারম্যান সুলতানা জাহান এগিয়ে আসলে জহুরুল ও তার লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে শ্লীলতাহানি করেন।

এ ঘটনায় গত ২৮ ডিসেম্বর দুপুরের দিকে তিনি ধুনট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। ওই অভিযোগে জহুরুল ইসলামসহ ৩ জনকে আসামী করা হয়। থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে জহুরুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে।

ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা ধুনট বার্তা‌কে জানান, শ্লীলতাহানীর মামলার এজাহারভুক্ত এক আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরের দিকে তাকে থানা থেকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ