ধুনটে মাদ্রাসা উচ্ছেদ চেষ্টার অভিযোগ

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ধামাচামা স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার জায়গা দখলে নিয়ে উচ্ছেদের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জমিদাতার ওয়ারিশদের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে তারা মাঠে বাঁশ ও নেটের বেড়া দিয়ে সেখানে গাছের চারা রোপন করে মাদ্রাসার কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছে। এ ঘটনায় ওই মাদ্রাসার শিক্ষক বাদি হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়নের ধামাচামা গ্রামে ওই মাদ্রাসাটি ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠাকালে স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিরা মাদ্রাসায় ৫২ শতক জমি দান করেন। এরমধ্যে ধামাচামা গ্রামের রহিম উদ্দিন মন্ডল মাদ্রাসার নামে ৮শতক জমি রেজিষ্ট্রি করে দিয়েছেন। বর্তমান ১২শতক জমির উপর টিনের তৈরী মাদ্রাসার ২টি ঘর দাড়িয়ে আছে। সেখানে কর্মরত ৪জন শিক্ষক মাদ্রাসার কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এদিকে মাদ্রাসার জমিদাতা রহিম উদ্দিন প্রায় ৫ বছর আগে মারা গেছেন।

এ অবস্থায় প্রয়াত রহিম উদ্দিনের ছেলে ও নাতিরা ২৮ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসা প্রাঙ্গনের ৮ শতক জমি দখলে নিয়ে বাঁশ ও নেটের বেড়া দিয়ে সেখানে চারাগাছ রোপন করেছেন। ফলে যাতায়াতের পথ বন্ধ হওয়ায় মাদ্রাসার কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। জামিদাতার ওয়ারিশরা তাদের জমি থেকে মাদ্রাসার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে উচ্ছেদের চেষ্টা করছেন। এছাড়া বাঁশের বেড়ার কারণে মাদ্রাসার মাঠের কোণে অবস্থিত নামাজ ঘরে মুসুল্লিদের যাতায়াতে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এ ঘটনায় মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক শাহ আলম বাদি হয়ে মঙ্গলবার ধুনট থানা সহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ওই অভিযোগে প্রয়াত রহিম উদ্দিনের ছেলে ইসমাইল হোসেন ও নাতি তানভীর আহম্মেদ সহ ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত তানভীর আহম্মেদ বলেন, প্রতিষ্ঠাকালে মাদ্রসার নামে আমার দাদা ৮ শতক জমি রেজিষ্ট্রি করে দিয়েছেন। কিন্ত দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসার কোন প্রকার কার্যক্রম না থাকায় আমাদের জমি আমরা দখলে নিয়েছি।

ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল আলম বলেন, শিক্ষকের অভিযোগ পেয়ে সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্ষেত্রে এ ধরণের ঘটনায় আইনের ব্যাখ্যা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ