ধুনটে যমুনায় বাড়ছে পানি, ডুবেছে নদী তীর


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820

তারিকুল ইসলাম.

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে নদী তীর ডুবে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পূর্বদিকের লোকালয়ে প্রবেশ করছে পানি।

স্থানীয়রা জানান, ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের যমুনা নদীতে কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে পানি হু হু করে বাড়ছে। সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত যমুনার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ১৭ দশমিক ৩ সেন্টিমিটার উচ্চতায় বইছে। ফলে বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি।

যমুনা নদীর তীর উপচে লোকালয়ে প্রবেশ করছে পানি। এতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অভ্যন্তরে (পূর্বদিকে) ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের পুকুরিয়া, ভুতবাড়ি, কৈয়াগাড়ি, মাধবডাঙ্গা, রঘুনাথপুর, ভান্ডারবাড়ি, দক্ষিণ শহড়াবাড়ি, বানিয়াজান ও শিমুলবাড়ি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রামের বাড়ির আনাচে-কানাচে থৈ থৈ করছে পানি। আবার কিছু কিছু বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করেছে এবং রাস্তা-ঘাট তলিয়ে গেছে।

ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আতিকুল করিম আপেল ধুনট বার্তাকে জানান, যমুনার কূল উপচে পানি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে এসে ঠেকেছে। লোকালয়ে পানি প্রবেশ করলেও এখনও মানুষের জীবনযাপন স্বাভাবিক রয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বানভাসীদের জন্য ৯ মেট্রিক টন চাল মজুদ রয়েছে। প্রয়োজনে প্রশাসনের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে এ সব চাল বিতরণ করা হবে।

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির ধুনট বার্তাকে বলেন, যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও পরিমাণ খুবই কম। সেই ক্ষেত্রে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের দিকে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে বন্যা মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। প্রতি মুহূর্তে যমুনা নদীর বাঁধ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

    অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ