আমিনুল ইসলাম শ্রাবণ.

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ৪ বছর বয়সী এক শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছে তার পরিবার। শুক্রবার বিকেল ৫টায় উপজেলার কাদাই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সে ওই গ্রামের এক প্রবাসীর কন্যা ও রাঙ্গামাটি গ্রামের একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। নির্যাতিত শিশুটি বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ওই শিশু’র মা জানান, নাঈম প্রামানিক (১২) নামে এক প্রতিবেশীর ছেলে বিকেলে তার শিশুকন্যাকে বাড়ীতে ডেকে নিয়ে যায়। এসময় নাঈমের পরিবারের লোকজন বাড়ীতে উপস্থিত ছিল না। এ সুযোগে নাঈম তার শিশুকন্যাকে যৌন নির্যাতন করেন। এ ঘটনায় যৌনাঙ্গে রক্ত খরন হয়ে শিশুটি অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। এ কারনে রাত ৮টায় তাকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মেয়ের চিকিৎসা নিশ্চিত করে থানায় অভিযোগ দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন নির্যাতিত শিশুটির মা।
অভিযুক্ত কিশোর নাঈম প্রামানিক কাদাই গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে ও কালেরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। নাঈমের মা জানান, ঘটনার সময় তিনি বাড়ীতে ছিলেন না। বাড়ীতে ফেরার পর থেকে তিনি নাঈমকে খুঁজে পাচ্ছেন না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শুনেছি নাঈম খেলাধূলা করার সময় ওই মেয়েটিকে একটি কঞ্চি দিয়ে আঘাত করেছে। যৌন হয়রানীর অভিযোগটি মিথ্যা।
বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কত্যর্বরত চিকিৎসক ডা. তারিক জানান, জরুরী বিভাগে মহিলা চিকিৎসক না থাকায় শিশুটিকে গাইনী বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তার ডাক্তারী পরীক্ষা করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রতিবেশী তরুণের কাছে ধর্ষণের শিকার হওয়ায় শিশুটির যৌনাঙ্গে রক্তক্ষরন হচ্ছে বলে তার পরিবার দাবী করেছেন।
ধুনট থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, শিশুকন্যাকে ধর্ষনের বিষয়ে কোন অভিযোগ তিনি পাননি। তবে এ বিষয়ে তিনি খোঁজ খবর নিবেন এবং অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন।


