Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820
আমিনুল ইসলাম শ্রাবণ.
দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত বছরের ১৭ মার্চ বন্ধ হয়ে যায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শ্রেণি কক্ষে পাঠদান না হওয়ায় থমকে যায় শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি আদায়। বন্ধ হয়ে যায় শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ভাতাও। আর এ কারনেই দেড় বছর যাবত তালা ঝুঁলছিল বগুড়ার ধুনট চাইল্ড একাডেমি কেজি স্কুলে।
বন্ধ থাকা ধুনট চাইল্ড একাডেমি কেজি স্কুলে গত দেড় বছরে প্রাকৃতিক ভাবে জন্ম নেয় নানা প্রজাতির গাছ, বেড়ে ওঠে আগাছা। স্কুল মাঠে দোলনা, ¯øীপার ও শিক্ষার্থীদের অন্যান্য খেলার সরঞ্জাম এবং সীমানা প্রচীর ঢেকে যায় এসব গাছ ও আগাছায়। ‘এ যে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান’ -বাহির থেকে তা বোঝার উপায় নেই। দীর্ঘ সময়ে স্কুল মাঠে বেড়ে উঠেছে সবুজ ঘাস। শ্রেণি কক্ষের চেয়ার, ব্র্যাঞ্চ, টেবিল অথবা অফিস কক্ষের আসবাবপত্র, ব্যবহার না হওয়ায় অকেজো হয়ে পড়েছে সবই। স্কুলটিতে বিদ্যুৎ সরবারের লাইনটিও কেটে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে পাঠদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সরকারি এই নির্দেশনা পাওয়ার পর দেড় বছর পর সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) ধুনট চাইল্ড একাডেমির তালা খুলেছে কর্তৃপক্ষ। পাঠদানের পরিবেশ তৈরি করতে এসে প্রিয় প্রতিষ্ঠানের ভ‚তুরে পরিবেশ দেখে হতবাক শিক্ষকরা। শ্রমিকদের সহায়তায় তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি পাঠদানের জন্য প্রস্তুত করার কাজ শুরু করেন। প্রকৃতিক ভাবে বেড়ে ওঠা গাছ ও আগাছা কেটে এবং ধুলোমাখা ব্রেঞ্চ, বøাকবোর্ড ও শ্রেণিকক্ষ ধুয়ে-মুছে পরিস্কার করেছেন তারা।
ধুনট চাইল্ড একাডেমির সহকারী শিক্ষক নূর জাহান খাতুন ধুনট বার্তাকে বলেন করোনার কারনে সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ন্যয় বন্ধ হয়ে যায় ধুনট চাইল্ড একাডেমি। পাঠদান বন্ধ থাকায় স্কুল কর্তৃপক্ষ টিউশন ফি আদায় করতে পারেননি। এজন্য শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ভাতা প্রদান বন্ধ করে দেওয়া হয়। তিনি জানান, করোনাকালে শিক্ষক-কর্মচারীরা মানবেতর জীবন যাপন করেছেন। দীর্ঘ দিন পর হলেও স্কুল খোলার খবর অবশ্যই আনন্দদায়ক। পেশায় ফিরে করোনাকালের যন্ত্রনাময় দিন গুলোর স্মৃতি ভুলতে চান এই শিক্ষক।
ধুনট চাইল্ড একাডেমিতে রয়েছে প্রায় দুইশত শিক্ষার্থী। ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষার্থীদের পদচারনায় মুখরিত হবে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আর এজন্যই পাঠদানের পরিবেশ সৃষ্টির কাজ করছেন বলে জানান একাডেমির অধ্যক্ষ আব্দুস ছালাম। ধুনট বার্তাকে তিনি বলেন শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ভাতা বন্ধ থাকায় দীর্ঘদিন স্কুলটি খোলা হয়নি। এসুযোগে স্কুলে আগাছা জন্ম নেয়। ব্রেঞ্চ-টেবিল ও আসবাবপত্র ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে গেছে। সরকারি নির্দেশনা পাওয়ায় স্কুল খুলে পাঠদানের পরিবেশ সৃষ্টির কাজ শুরু করেছি।
নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক পাঠদানের জন্য প্রতিষ্ঠানটি প্রস্তুত দাবী করে অধ্যক্ষ আব্দুস ছালাম বলেন, হঠাৎ করে পাঠদানের উপযোগী করতেও প্রতিষ্ঠানটির অর্থ ব্যয় হচ্ছে। দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠানটির আয় না থাকায় গ্রামীণ জনপদের বেসরকারি এই প্রতিষ্ঠানটির জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। প্রতিষ্ঠানটিকে সরকারি প্রনোদনার আওতায় আনার দাবীও জানান এই শিক্ষক।
