ধুনটে হালচাষ ছাড়াই জমিতে সরিষার আবাদ : সম্ভাবনার নতুন দ্বার


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820

Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820

Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820

    ষোল চাষে মুলা, তার অর্ধেক তুলা, তার অর্ধেক ধান, বিনা চাষে পান। প্রচলিত এই খনার বচনের সঙ্গে নতুন যুক্ত হলো সরিষার নাম। চলতি মৌসুমে বগুড়ার ধুনট উপজেলার চানদিয়াড় গ্রামের আদর্শ কৃষক বাদশা আলম জমিতে কোনো চাষ ছাড়াই উচ্চ ফলনশীল সরিষা আবাদ করেছেন। এই এলাকায় এবারই প্রথম এ পদ্ধতিতে সরিষা আবাদ হয়েছে।

    সরেজমিন দেখা যায়, করতে হয়নি জমি চাষ। মাঠে আমন ধান থাকতেই বপন করা হয় বীজ। ধান কাটার পর চোখে পড়ে সরিষা গাছ। এ পদ্ধতিতে চাষ করে তিন ফসলি ধানি জমি থেকে বাড়তি ফসল হিসেবে সরিষা উৎপাদন হচ্ছে এখানে। ফলে বাড়তি উপার্জন করতে পারছেন। এই পদ্ধতি রিলে পদ্ধতি হিসেবে পরিচিত।

      কৃষক বাদশা আলম জানান, রোপা আমন ধান কাটার ১৫ দিন আগে খেতে সরিষার বীজ ছিটিয়ে দেওয়া হয়। পরে ধান কেটে নিলে সরিষা গাছ সতেজ হয়ে ওঠে। আর আগে আমন ধান কেটে জমি ফাঁকা হতে ১০-১২ দিন কেটে যায়। এরপর জমি চাষযোগ্য করতে আরও ১০-১২ দিন চলে যায়। ফলে চাষ করে সরিষা বুনলে সরিষা তুলে আর বোরো আবাদ করা সম্ভব হতো না। এ ছাড়া বিঘাপ্রতি জমি চাষের খরচও পড়ে যায় অনেক বেশী। কিন্ত বিনা চাষে সরিষা আবাদ করায় চাষের খরচ বেঁচে যাচ্ছে, উৎপাদন খরচও কমে আসছে। ফলনও ভাল হয়েছে। এ পদ্ধতিতে সরিষা চাষে প্রতি বিঘায় প্রায় ২ হাজার টাকা খরচ হয়। সেখানে প্রতি বিঘায় সরিষা পাওয়া যায় ৪ মণ। যার বাজারমূল্য প্রায় ১২ হাজার টাকা। এই পদ্ধতিতে পরিশ্রম ও খরচ কম, লাভ বেশী।  

      ধুনট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ছামিদুল ইসলাম বলেন, এ পদ্ধতিতে সরিষা চাষ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কৃষকরা বিনা চাষে সরিষা আবাদের দিকে ঝুঁকছেন। আগামীতে বেশির ভাগ তিন ফসলি জমি বিনা চাষে সরিষা আবাদের আওতায় আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ এলাকায় আগে এক থেকে দুই ফসল চাষ হতো। ওই সব জমিতে এখন তিন ফসল উৎপাদন হচ্ছে। আমরা কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করছি। আগামীতে এলাকায় বেশি পরিমাণ জমিতে এ পদ্ধতিতে সরিষা চাষ হবে। যা দেশের ভোজ্য তেলের চাহিদা মেটাতে ভুমিকা রাখবে।

        অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ